সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
আর মাত্র ১৮ দিন। আগামী ১৯ জুন নদীয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। তাই গোটা কালীগঞ্জ বিধানসভা জুড়ে এখন সাজ সাজ রব। আসন্ন নির্বাচনকে স্বচ্ছ অবাধ উত্তরটি মুক্ত রাখতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোট কর্মীদের ইভিএম প্রশিক্ষণ। নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট মুখ্য নির্বাচনে আধিকারিক এর দপ্তরের যৌথ ব্যবস্থাপনায় কালীগঞ্জের ৩০৯ টি বুথের ৯০৮ জন নির্বাচন কর্মীদের প্রথম দফার ইভিএম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নদীয়ার ডিইও তথা জেলাশাসক এস অরুন প্রসাদের তত্ত্বাবধানে এই প্রশিক্ষণশালায় ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেন নির্বাচন কমিশনের সচিব বি সি পাত্র, ইভিএম নোডাল অফিসার রাহুল ফুকান এবং রাজ্যের ডেপুটি সিইও সুমন্ত রায়। তিন দফার এই প্রশিক্ষণশালায় প্রথম দফায় মূলত প্রিজাইডিং অফিসারদের ইভিএম পরিচালনা এবং তার সঙ্গে ভি ভি প্যাট সিস্টেম হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এক একজন করে প্রিজাইডিং অফিসারদের বেলাড ইউনিট কন্ট্রোল ইউনিটের যাবতীয় কার্যকারিতা যেমন বোঝানো হয় তেমনি প্রতি প্রিজাইডিং অফিসার একজন ভোটার হিসেবে ভোট দিতে গেলে ইভিএমএ একটা ভোটদান যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হচ্ছে ততক্ষণ তাকে কি কি বিষয় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে সেগুলো হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রিজাইডিং অফিসের ডায়েরি অনুযায়ী একজন প্রিজাইডিং অফিসারের কি কর্তব্য এবং তার দায়িত্বের মধ্যে কি কি থাকে তা নিয়েও বিশদে ক্লাস করানো হয়। মূলত ভোটের বুথে নির্বাচন কর্মীদের নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে যাতে কোনো রকম সন্দেহ না থাকে সে কারণেই বারবার নির্বাচন কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। যেহেতু কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন শিয়রে তাই কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের ৩০৯ টি বুধের দায়িত্বে যে নির্বাচন কর্মীরা থাকবেন তাদের সবাইকে তিন দফায় শেষ মুহূর্তের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে। গত ১০০ দিনে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী সংস্কার মূলক ২১ টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার মধ্যে পরিকাঠামগত একাধিক পরিবর্তন সহ ভোট ব্যবস্থাপনা বা ভোটের বুথ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নতুন বিধি যুক্ত হয়েছে। নতুনভাবে যুক্ত হওয়া বিষয়গুলি নিয়েও শেষ মুহূর্তের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট কর্মীদের। ইতিমধ্যেই কালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের জন্য রাজ্যের প্রধান স্বীকৃত দল গুলি তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের নিজস্ব দলীয় পতিকে প্রার্থী দিলেও বামফ্রন্ট এই উপনির্বাচনে তাদের নিজেদের কোন প্রার্থী দিচ্ছে না। মামিদের সমর্থন নিয়ে এই উপনির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় কংগ্রেস। আগামীকাল ২ জন এই উপনির্বাচনের প্রার্থী পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তিন জুন স্ক্রুটিনি পর্ব মিটিয়ে পাঁচ জুনের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার সুযোগ পাবে রাজনৈতিক দলগুলি। ফলে আগামী ৫ জুনের পর থেকে রাজনৈতিক প্রচারাভিযান যেমন তীব্র হবে তেমনি তৎপরতা বাড়বে নির্বাচন কমিশনেরও। তাই আসন্ন উপ নির্বাচনকে ত্রুটিমুক্ত, স্বচ্ছ ও অভিযোগহীন করে তুলতে ২৬-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে বদ্ধপরিকর নির্বাচনী কর্তারা।