পাকিস্তানের সঙ্গে এরপর থেকে আলোচনা শুধুই পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার নিয়ে হওয়া উচিত। রবিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুরে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতে এমনই কথা বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাকিস্তানের সন্ত্রাসের কথা বিশ্বকে জানাতে ৩৩টি দেশে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলকে পাঠিয়েছে ভারত। জেডি(ইউ) সাংসদ সঞ্জয় ঝায়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়ার পরে শনিবার মালয়েশিয়ায় পৌঁছয়। সেই দলেরই অন্যতম সদস্য তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মালয়েশিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “আমরা ওদের দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম। কোনও পদক্ষেপ ওরা নেয়নি পরিবর্তে আমরা দেখলাম, জঙ্গিদের শেষকৃত্যে সামিল হয়েছেন খোদ পাক সেনারা।” এরপরই অভিষেক বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে পরের আলোচনা হলে তা হবে শুধু পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার নিয়ে। তার চেয়ে কম কিছু বলে এই সন্ত্রাসের চক্র ঘুরতেই থাকবে।” পাকিস্তানের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের বার্তা ছড়িয়ে দিতে প্রবাসী ভারতীয়দের আহ্বান জানান অভিষেক।
অভিষেক আরও বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে দশকের পর দশক ধরে কথা চলছে। ধরন বদলেছে, সরকার বদলেছে। কিন্তু যে বিষয়টি স্থির রয়ে গিয়েছে, তা হল পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত। ২২ এপ্রিল ২৬ জনকে গুলি করে খুন করা হয়। তাঁদের ধর্ম ও লিঙ্গের ভিত্তিতে। আমি চাই, শাসকদল পাকিস্তানের সঙ্গে একটি বিষয় নিয়েই আলোচনা করুক, তা হল পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার। নয়তো এই সন্ত্রাস চলতেই থাকবে।”
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সবুজে ঘেরা বৈসরন উপত্যকায় নিরীহ পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে খুন করে জঙ্গিরা। ২৬ জন পর্যটক মারা যান। ফের রক্তাক্ত হয় উপত্যকা। পাল্টা প্রত্যাঘাত হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর চালু করে ভারত। পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়।
এদিন অভিষেক আরও বলেন, “আমরা এখানে কিছু প্রমাণ সঙ্গে করে এনেছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশকিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার শীর্ষকর্তারা জঙ্গিদের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছেন। বিশ্বকে আর কত বড় প্রমাণ দেবে ভারত?”