রাশিয়ায় ভয়ঙ্কর ড্রোন হামলা ইউক্রেনের। রুশ বায়ুসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে বড়সড় হামলা চালাল ইউক্রেন। হামলায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে রাশিয়ার প্রায় ৪০টি সামরিক বিমান। হামলায় কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে দাবি। দুটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালায় ইউক্রেন। কিয়েভ থেকে প্রায় ৪৩০০ কিলোমিটার দূরের রাশিয়ার বেলায়া ও ইরকুটস্ক অঞ্চলের বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ধব্বংস করে দেয় ইউক্রেন।
সাম্প্রতিক অতীতে ইউক্রেনের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম জুড়ে শিরোনামে দেখানো হচ্ছে হামলার খবর। রাশিয়ার তরফে ইতিমধ্যেই স্বীকার করা হয়েছে ইউক্রেনীয় হামলার কথা। রাশিয়ার গভর্নর জানিয়েছেন, সাইবেরিয়া অঞ্চলে এই প্রথম এত বড় ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে শত্রু দেশের তরফে। ড্রোন লঞ্চ সাইট ইতিমধ্যেই অবরুদ্ধ করে এমার্জেন্সি টিম ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই না জানা গেলেও হামলার মুহূর্তের একাধিক ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনের হামলায় ধোয়ায় ঢেকে গিয়েছে রাশিয়ার বিমানঘাঁটি। সেই ভিডিও শেয়ারও করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রাক্তন প্রেস সচিব। ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিস বড়সড় ড্রোন হামলা চালিয়ে প্রায় ৪০টি রুশ বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ওই হামলার মূল টার্গেট ছিল রাশিয়ার উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অত্যাধুনিক সামরিক বিমানগুলি। যার মধ্যে এ-৫০ আর্লি ওয়ার্নিং বিমান, টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান ও টিইউ-২২এম৩ দূরপাল্লার বোমারু বিমানকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয় ইউক্রেনের তরফে। জেলেনস্কির প্রাক্তন প্রেস সচিবের আরও দাবি, প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ার। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ায় এটাই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার পর পরই জরুরি বৈঠকে রাশিয়া। একাধিক রুশ সংবাদমাধ্যমে দাবি, ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে ক্রেমলিনে বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, ড্রোন হামলার আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে শান্তি বৈঠকে সোমবারই ইস্তানবুলে প্রতিনিধি দল পাঠাবেন তাঁরা। যদিও তার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা ইউক্রেনের।