হঠাৎ কোনও প্রয়োজনে দূরে যেতে হলে বা আচমকা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান হলে তৎকাল টিকিটই সম্বল। যেহেতু শেষ মুহূর্তে কনফার্ম টিকিট কার্যত মেলেই না, তাই তৎকাল টিকিটে ভরসা রাখতে হয়। আর এবার সেই তৎকাল টিকিট কাটতে গিয়েও হাজারো ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। এমনকি রেলের আশ্বাস সত্ত্বেও দালালদের রমরমা চলছেই বলে দাবি। চাঞ্চল্যকর এমনই এক সমীক্ষা তুলে ধরল সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড।
ডেকান হেরাল্ডে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, লোকাল সার্কেল নামে এক সংস্থা সম্প্রতি দেশজুড়ে ৩৯৬টি জেলায় এক সমীক্ষা চালায়। আর তাতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতি ১০ জন পিছু ৭ জনই তৎকালে টিকিট বুক করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি। গত ১২ মাসে তা আরও বেড়েছে। বুকিং উইন্ডো খুলতে না খুলতেই মিনিটের মধ্যে সমস্ত টিকিট উধাও হয়ে যাচ্ছে। যার জেরে তৎকালের আশায় বসে থাকা যাত্রীদের সেই ওয়েটিং লিস্টেই থাকতে হচ্ছে।
সমীক্ষায় দাবি, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জন আবার তৎকাল টিকিট পেতে রেগুলার অনলাইন বুকিং প্রসেসই পছন্দ করেন। তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর যে তথ্য উঠে এসেছে ওই সমীক্ষায়, তা হল দালালরাজের উপস্থিতি। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৩ জনই তৎকাল টিকিটের জন্য এজেন্ট বা দালালের উপর কার্যত চোখ বুজে ভরসা করেন।
সার্ভে রিপোর্টে স্পষ্টতই বলা হয়েছে, “তৎকাল টিকিট পেতে এই ডিজিটাল যুগেও দালালদের উপর ভরসা রাখছেন বেশকিছু মানুষ। এ থেকেই স্পষ্ট, রেলের সিস্টেমেই কোনও খামতি বা ত্রুটি থাকতে পারে। আর নয়ত দালালদের নাগালে রয়েছে কোনও অদৃশ্য বাহুবল। যার প্রয়োগেই তৎকাল টিকিট পাওয়া যায়।” তবে কি তৎকাল টিকিটের উইন্ডো আসলে আইওয়াশ? গোটাটাই দালালদের সুবিধা পাইয়ে দিতে? এব্যাপারে সরাসরি কিছু না উল্লেখ করা হলেও সমীক্ষায় চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের ৩৯৬টি জেলা থেকে প্রায় ৫৫ হাজার যাত্রীর মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। যাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই পুরুষ। বাকি ৩৭ শতাংশ মহিলা। আবার ৪১ শতাংশ উত্তরদাতা প্রথম সারির বড় শহরগুলির বাসিন্দা। ২৯ শতাংশ দ্বিতীয় ও ৩০ শতাংশ তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম সারির শহর ও গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা।