সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
মন্ত্রিসভার বৈঠকে এবার মুখ্যমন্ত্রীর কোপে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। ২০১৭ সালের বিশ্ব ব্যাংকের টাকায় জল পরিবহনের প্রকল্পকে কেন্দ্র করে বিপত্তি। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় রাজ্যের ঔপনিবেশিক এলাকা ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া, চন্দননগর, শ্রীরামপুরের সঙ্গে কলকাতা খিদিরপুর হয়ে হলদিয়া পর্যন্ত জল পরিবহনের প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পে রাজ্য সরকারকেও ম্যাচিং গ্রান্টের টাকা দিতে হয়। প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প নিয়ে নানাবিধ জটিলতা থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষেত্রে ফের ‘ মৌ ‘ বা মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং সই করতে হয় রাজ্য সরকারকে। সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখেই এই দ্বিতীয় পর্যায়ের মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করে পরিবহন দপ্তর। আর সেক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রী কোপে পড়েন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেই পরিবহন মন্ত্রীকে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন তাকে না জানিয়ে নতুনভাবে মৌ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে সেটাই পরিবহন মন্ত্রীর কাছে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় যখন এই প্রকল্প তৈরি হচ্ছে তখন আরো সতর্ক হয়ে প্রকল্প করার প্রয়োজনীয়তা ছিল। তবে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন নিয়ে এই ধরনের প্রকল্প করা উচিত বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। সমস্ত প্রকল্পের তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের দিতে হবে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু পরিমাণ মন্ত্রী নয় এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও। রাজ্যের আইন বিভাগের কাজকর্ম নিয়েও সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের যে লিগাল সেল রয়েছে তাদের কাজে অসন্তুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসকদলের আইনজীবী ছেলের কাজেও সন্তুষ্ট নন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি লিগাল সেলের জন্য আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক কে এবং রাজ্য আইনজীবী ছেলের কাজকর্মের জন্য সংশ্লিষ্ট ছেলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে মলয় ও চন্দ্রিমা নিজেদের মধ্যে কথা বলে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে বৈঠকে দুই মন্ত্রীকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।