সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
‐————————
আগামীকাল থেকেই নদিয়া জেলার কালীগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হতে চলেছে। এলাকায় টহলদারি বা রুট মার্চ শুরু করে মানুষের মধ্যে ভোটদানের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলার কাজে এলাকায় কাজ শুরু করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকেই দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে স্ট্রংরুমের জন্য। পাশাপাশি আগামী ১৯ জুন নির্বাচনের দিন প্রতি বুথে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং এলাকাতেও মোতায়েন রাখা হবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
আর কয়েক মাস বাদেই রাজ্যে বিধানসভার সাধারণ নির্বাচন। তাই আসন্ন কালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনকে ২৬-এর নির্বাচনের মহড়া হিসেবেই দেখছে নির্বাচন কমিশন। আর সেকরণেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থেকে শুরু করে ওয়েব কাস্টিং এবং লাইভ স্ট্রিমিং সব কিছুই এবার নির্বাচন কমিশন কড়া হাতে নজরবন্দি করতে চলেছে।
আসন্ন উপনির্বাচনকে স্বচ্ছ ও অবাধ করতে রাজ্যের বিরোধীপক্ষের দীর্ঘদিনের দাবিদাওয়াগুলোকে বিবেচনা করে নির্বাচনের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের যুক্ত রাখতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে সরকারি কর্মচারী এবং আধা সরকারি কর্মচারী ব্যতীত চুক্তিভিত্তিক এবং বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ করা যাবে না। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুথ লেভেল অফিসার থেকে শুরু করে নির্বাচনের কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই হতে হবে সরকারি কর্মচারী অথবা আধা সরকারি কর্মচারী।
এতদিন পর্যন্ত বুথের ভিতরেই ওয়েব কাস্টিং এর ব্যবস্থা থাকতো কিন্তু এই প্রথমবার প্রত্যেকটি বুথের বাইরে থাকছে লাইভ স্ট্রিমিং এর ব্যবস্থাও। যার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন মাউসের এক ক্লিকেই দেখতে পাবে বুথের বাইরের ঘটনাও। রাজ্যের শাসক থেকে বিরোধী সকলেই বিভিন্ন সময় বুথের বাইরের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে অভিযোগ তুলত। কিন্তু এইবার সেই ঘটনা নিজেই সরাসরি দেখতে পাবেন কমিশনের আধিকারিকরা। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন গত ১০০ দিনে যে ২১ দফা সংস্কার মূলক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে তার মাধ্যমেও আসন্ন উপ নির্বাচন একদিকে যেমন যথেষ্ট ভোটার উপযোগী হবে তেমনি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, অবাধ ও ত্রুটিহীন নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বিশেষ সহায়ক বলে মনে করা হচ্ছে।