ফের একবার বিশ্বের সামনে খুলে গেল পাকিস্তানের মুখোশ! গত মাসে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চলাকালীন ভারতীয় বায়ুসেনার আদমপুর বিমানঘাঁটি পাক বায়ুসেনা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে ইসলামাবাদ। এমনকী সে দেশের একাধিক সংবাদমধ্যমও সেই খবর প্রকাশ করে। পাকিস্তানের এহেন দাবি কতটা সত্য তা যাচাই করেন এক জিও ইন্টেলিজেন্স এক্সপার্ট। বেশ কিছু স্যাটেলাইট মানচিত্রও সামনে আনেন। আর সেখানেই বিশ্বের সামনে আরও একবার চলে এল পাকিস্তানের স্বরূপ!
পাকিস্তানের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। আর সেই হামলায় একটি সুখোই এসইউ-৩০ এমকেআই বিমানের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। জিও ইন্টেলিজেন্স এক্সপার্ট ড্যামিয়েন সাইমন সম্প্রতি সংঘর্ষের দু’মাস আগে অর্থাৎ মার্চ মাসের স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন। তাঁর দাবি, সেখানে একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। ইঞ্জিন টেস্ট প্যাডের কাছে যে কালো কালি দেখা যাচ্ছে তা স্বাভাবিক। হামলা সংক্রান্ত কোনও ক্ষতি দেখা যায়নি, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ওই বিশেষজ্ঞ।
বলে রাখা প্রয়োজন, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরেই অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাক বাহিনীও। একাধিক ড্রোন এবং মিসাইল হামলা চলে। যদিও মাঝ আকাশে সমস্ত ড্রোন এবং মিসাইল ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয় ভারতের হাতে এস ৪০০ সহ একাধিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
যদিও পাকিস্তানের দাবি ছিল চিনে তৈরি JF-17 যুদ্ধবিমানের সাহায্যে ভারতের হাতে থাকা এস-৪০০ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী আদমপুর বিমানঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয় বলেও দাবি করে ইসলামাবাদ। যদিও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি হতেই আদমপুর বিমানঘাঁটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানকার সেনাকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এমনকী বক্তব্যও রাখেন। প্রধানমন্ত্রী পিছনে স্পষ্ট দেখা যায় যে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে এস ৪০০।