দেশ জুড়ে আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে হলে বাধ্যতামূলক করা হল কোভিডের আরটি পিসিআর টেস্ট। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মোদী, তাঁদের ক্ষেত্রেও করোনা টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক ছিল।
সূত্রের খবর, ১১ জুন সন্ধ্যায় দিল্লি বিজেপির প্রায় ৭০ জন নেতা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নিমন্ত্রিত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, দিল্লির সমস্ত বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পর এটাই প্রথম বার নেতাদের ডিনারে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। তবে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগে প্রত্যেককেই আরটি-পিসিআর রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
করোনা সংক্রমণের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গোটা দেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,১২১। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩০৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিল্লিতেই আক্রান্ত ৬৬ জন। আর এই সংখ্যাগুলো যে একেবারেই উদ্বেগজনক নয়, তা বলা যাচ্ছে না।
সবচেয়ে বেশি করোনা অ্যাকটিভ কেস রয়েছে কেরলে। প্রায় ২,২২৩ জন। এর পরেই গুজরাটে ১,২২৩ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ৭৪৭ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধমুখী হওয়ার পর থেকেই ফের তৎপর হয়েছে কেন্দ্র সরকার। ৫ জুন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে মক ড্রিল চালানো হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, কোথায় কতটা অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, আইসোলেশন বেড এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রয়েছে। ২ ও ৩ জুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি ডঃ সুনীতা শর্মার নেতৃত্বে টেকনিক্যাল রিভিউ মিটিংও হয়েছে রাজ্য ও বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থাগুলোর সঙ্গে। করোনা নিয়ে ফের বাড়ছে সতর্কতা।