খুব দ্রুত ‘ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস’ বা ইউপিআই লেনদেনের নিয়মে বড় পরিবর্তন আনতে পারে ভারত সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বার তিন হাজার টাকার বেশি ইউপিআই লেনদেনে মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট ফি বসানো হতে পারে। বর্তমানে ইউপিআই লেনদেনে কোনও রকম চার্জ নেওয়া হয় না। কারণ ২০২০ সাল থেকে জিরো এমডিআর পলিসি চালু আছে। এই নীতির আওতায় দোকানদার বা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোনও চার্জ নেয় না ব্যাঙ্ক বা পেমেন্ট সার্ভিস কোম্পানিগুলো। সম্প্রতি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই নীতি তুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকার চাইছে বড় অঙ্কের ইউপিআই লেনদেনে সামান্য ফি চালু করতে, যাতে ব্যাঙ্ক ও পেমেন্ট কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান খরচ কিছুটা সামলানো যায়। বর্তমানে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন হচ্ছে ইউপিআই-র মাধ্যমে। মে ২০২৫-এ রেকর্ড ২৫.১৪ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে এই প্ল্যাটফর্মে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। এই বিপুল লেনদেন সামাল দিতে গিয়ে ব্যাপকভাবে খরচ বেড়েছে ব্যাঙ্ক ও সার্ভিস প্রোভাইডারদের।
এই প্রেক্ষাপটে ‘পেমেন্টস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া’ প্রস্তাব দিয়েছে, যে সব ব্যবসায়ীর টার্নওভার বেশি, তাদের কাছ থেকে ০.৩ শতাংশ হারে এমডিআর নেওয়া হোক। এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে এমডিআর ০.৯ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত হয়। কেবল রুপে ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রে কোনও চার্জ নেই। ইউপিআই-এর ক্ষেত্রেও এখন এই এমডিআর চালুর চিন্তাভাবনা চলছে। আগামী এক থেকে দু মাসের মধ্যে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ব্যাঙ্ক, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার।
