এই রাজ্যের সব রথ যাত্রা কমিটিকে নিয়ে আজ মহা সভা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্য দিকে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী দিঘার রথযাত্রার প্রস্তূতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন। স্বাধীনতার পর রথকে কেন্দ্র করে এই প্রথম এই রাজ্যে রাজনীতির ছোঁয়া লাগলো ।
যতদূর জানা যাচ্ছে শুভেন্দুর ডাকা বৈঠকে সব রথ যাত্রাকে সফল করতে আর্থিক সাহায্য্য দেওয়া হবে । তেমনি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে রথ যাত্রায় সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে ২৬ -এর ভোটের আগে রথের যাত্রা নিয়ে রাজনীতির রং লাগলো সারা রাজ্য জুড়ে। দু’পক্ষের প্রস্তুতি দেখে মনে হচ্ছে, গরিমার দিক দিয়ে না হলেও, এবার সংখ্যার দিক দিয়ে রথযাত্রায় উড়িষ্যাকে পেছনে ফেলবে বাংলা। আর তারপর হিসাব হবে কতটা ভোটের ফায়দা তোলা গেলো সেই রথযাত্রা নিয়ে।
আসলে এই রথ এখন তৃণমূল আর বিজেপির অন্যতম অস্ত্র। এই রথে চেপেই রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে বিরোধী দল বিজেপি। অন্যদিকে শাসক দল তৃণমূল চায় রথকে হাতছাড়া না করতে। আর তাই সব রথযাত্রা কমিটিকে নিয়ে একদিকে আলোচনা করার চেষ্টা বিজেপির অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রীর দিঘায় রথের রশিতে টান দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ। সব মিলিয়ে স্নান যাত্রার দিন থেকেই রথের রাজনীতির কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে। যে রাজনীতিতে সামিল আট থেকে আশি সকলেই।
