২০১১ সালে শেষ জনগণনা হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ফের একবার জনগণনা হতে চলেছে দেশে। দু’দফায় এ বার জনগণনার কাজ হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সোমবার এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রবিবারই জনগণনা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। তার পরেই সোমবার জনগণনার তারিখ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দু’দফায় জনগণনার কাজ করা হবে। প্রথম দফায় কাজ শুরু হবে ১ অক্টোবর, ২০২৬ থেকে। লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে করা হবে জনগণনার কাজ। দেশের সমস্ত বাকি অংশে এই জনগণনার কাজ ১ মার্চ, ২০২৭ থেকে শুরু হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ‘হাউস লিস্টিং অপারেশন’ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সম্পত্তি, পারিবারিক আয়, বাড়ির অবস্থা-সহ সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। যে হেতু এ বারই প্রথম ডিজিটাল সেনসাস হচ্ছে, তাই বাড়িতে বসেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। ওই সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দ্বিতীয় পর্যায়ে হবে ‘পপুলেশন এনুমারেশন’। সেখানে আর্থ সামাজিক অবস্থা, সংস্কৃতি, ভৌগলিক অবস্থান এবং প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
বলে রাখা প্রয়োজন, প্রত্যেক ১০ বছর অন্তর জনগণনা হয়ে থাকে। কিন্তু দেশে ২০১১ সালের পর জনগণনা হয়নি। মাঝে ২০২১ সালে জনগণনার কথা থাকলেও তা করা যায়নি। করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্যে তা বাতিল হয়ে যায়। গত কয়েক দিন ধরে জনগণনা নিয়ে জোর চর্চা চলছিল। আর এর মধ্যেই রবিবার শাহের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক্সে জানান, জনগণনা সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছে। আর সেখানেই আজ সোমবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানান শাহ। একই সঙ্গে বিপুল এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রায় ৩৪ লক্ষ গণনাকারী, পর্যবেক্ষক সহ প্রায় ১.৩ লক্ষ মানুষ যুক্ত থাকবেন বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।