সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে আমেরিকার প্রখ্যাত চিকিৎসক ডঃ সুদ জানিয়েছেন, প্রতিদিনের খাওয়াদাওয়ায় যদি কয়েকটা নির্দিষ্ট খাবার যোগ করা যায়, তাহলে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল অনেকটাই কমে যাবে। এই খাবারগুলি ঘরের সাধারণ জিনিস, যেগুলো সকালে, দুপুরে খাওয়া বা সন্ধ্যাবেলায় স্ন্যাকস হিসেবেও খাওয়া যায়। ভিডিওটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছেন।
ডঃ সুদের মতে, নিয়মিত ওটস খেলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমে, কারণ এতে থাকা ‘বিটা-গ্লুকান’ শরীরে কোলেস্টেরল শোষণের হার কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি অ্যাভোকাডো এমন একটা ফল যেটা ভালো ফ্যাটে ভরপুর, যা শরীরের ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, বাদাম যেমন, বিশেষ করে বাদামি খোসা-সহ কাঁচা বাদাম খেলে হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকার হয়। এতে থাকা প্রাকৃতিক স্টেরল শরীরে কোলেস্টেরল জমতে দেয় না।
তিনি আরও বলেন, রোজকার প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ বা মাংসের পরিবর্তে সয়া খাওয়া যেতে পারে, কারণ এতে থাকা ‘আইসোফ্লেভন’ যৌগ শরীরে কোলেস্টেরল হ্রাস করে। আর যারা ফল পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য বেরি খুবই কার্যকরী, কারণ এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরলের শোষণকে রোধ করে। মাছপ্রেমীদের জন্য সালমনও উপকারী, কারণ এতে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। রান্নার তেল হিসেবে যদি অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যায়, তাহলে সেটাও এলডিএল কমাতে সাহায্য করে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করাচ্ছেন, এসব খাবার গ্রহণ করার আগে অবশ্যই নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ প্রতিটি শরীরের চাহিদা আলাদা, আর অতিরিক্ত বা ভুল খাদ্যাভ্যাসে উপকারের বদলে ক্ষতিও হতে পারে।