কথায় আছে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খায় না! তা বলে বাঘের সঙ্গে কুমীরের লড়াই। রাজস্থানের রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভে এক রোমাঞ্চকর ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পর্যটক এবং সেখানকার বনকর্মীরা। গভীর জঙ্গলের সেই মুহূর্ত ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রনথম্বোরের জোগিমহলের কাছে জোন থ্রি’য়ের পাদম তালাব লাতাব এলাকায় সেই রোমহর্ষক ভিডিও দেখা যায়। T-84 নম্বর বাঘিনী এই জঙ্গলে ‘অ্যারোহেড’ নামে পরিচিত। এক কুমীরের সঙ্গে তার লড়াইয়ের নজিরবিহীন দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। পর্যটকরা জানিয়েছেন, এক জলাশয়ের ধারে বসেছিল ওই বাঘিনী। হঠাৎ করেই একটি কুমীর তাকে আক্রমণের চেষ্টা করে।
কিছুক্ষণ চলে বাঘে-কুমীরের লড়াই। কিন্তু বাঘের শক্তিশালী দাঁতের কামড়ে হার মানতে হয় কুমীরকে। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই মুহূর্ত। দেখা গিয়েছে, অ্যারোহেড নামে ওই বাঘিনী কুমীরের গা থেকে একটুকরো মাংস খুবলে নিয়ে নেবে যায় জলে। এরপর কুমীরের দেহটা টানতে টানতে নিয়ে যায় জঙ্গলের মধ্যে। বাঘিনী যে কতটা শক্তিশালী তা বোঝা গিয়েছে।, যখন কুমীরকে জল থেকে সে টেনে তুলছে।
জঙ্গলের আরেক বিখ্যাত বাঘের সঙ্গে সম্পর্ক ‘রক্তের সম্পর্ক’ রয়েছে অ্যারোহেড নামে ওই বাঘিনীর। এক সময়ে এই জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াত T-16 বাঘিনী। ‘মাছলি’ নামে পরিচিত ছিল সে। বনকর্মীরা ওই বাঘটিকে ‘Crocodile Killer’ নামেও ডাকত। সেই বাঘিনীরই সম্পর্কে ‘নাতনি’ এই অ্যারোহেড। শুধু তাই নয়, ‘মাছলি’ নামে বাঘিনীটির মেয়ের নাম ছিল ঋদ্ধি। তাকেও একবার কুমীর স্বীকার করতে দেখা গিয়েছিল। আর সেই স্বভাব এবং শক্তি অ্যারোহেড পেয়েছে বলে মনে করছেন রাজস্থানের রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভের আধিকারিকরা।
আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অ্যারোহেডের বয়স ১৬ বছর। হাড়ে রয়েছে টিউমারও। কিন্তু এরপরেও যেভাবে অ্যারোহেড ‘খেলা দেখাল’ তাতে অবাক সবাই।