জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে নতুন করে প্রাণ ফেরাতে সোমবার শ্রীনগরে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বৈঠক করলেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটরস (IATO)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে। এপ্রিল মাসের সন্ত্রাসবাদী হামলার পর রাজ্যের পর্যটন ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই এদিন সরকারের তরফে পরিকল্পনার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা নাসির আসলাম ওয়ানি, পর্যটন সচিব যশা মুদগল, কাশ্মীর পর্যটন অধিকর্তা রাজা ইয়াকুব ফারুক, IATO প্রেসিডেন্ট রবি গোসাইন-সহ একাধিক আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় মূলত পর্যটকদের আস্থা ফেরানো, নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় হয়।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে নয়টি নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে, যা জম্মু ও কাশ্মীর দুই অঞ্চলেই ছড়িয়ে থাকবে। পাশাপাশি, সম্প্রতি চালু হওয়া ট্রেন পরিষেবার চাহিদা বেড়েছে। রেল মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে ট্রেনের সংখ্যা ও দৈর্ঘ্য বাড়ানোর ভাবনা রয়েছে।
এপ্রিল মাসে বাইসারানে হামলার পর যেসব এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো ধাপে ধাপে আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পর্যটকদের মধ্যে নিরাপত্তার আস্থা ফিরবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমকে ঘিরে বেতাব ভ্যালি, গুলমার্গে জিপলাইন, ট্রেকিং, মাউন্টেন বাইকিং চালুর পরিকল্পনাও চলছে। এই পরিষেবা গড়ে তুলতে জাতীয়স্তরের সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
IATO প্রতিনিধিরা সরকারের পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলেও জানান। তারা আরও পরামর্শ দেন, দেশের বাইরেও কাশ্মীরের পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরার জন্য বড় প্রচার চালাতে হবে।
চলতি বছরের শেষ দিকে পর্যটন মেলা আয়োজনের পরিকল্পনাও উঠে এসেছে বৈঠকে। রাজ্য সরকার সেই অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে।