পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনীরের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাত এবং এক সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করার বিষয়টি বাস্তব। ইতিমধ্যে আমেরিকায় পৌঁছে গিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান। তবে সেই বৈঠকের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। দু’জনের মধ্যে প্রায় ৩৫ মিনিট ফোনে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী। নাতিদীর্ঘ ফোনালাপে সন্ত্রাসবাদ, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া মধ্যস্থতা নিয়েও ট্রাম্পকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এক নজরে ট্রাম্প-মোদী ফোনালাপ
১) ভারত পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি ফেরাতে কখনই আমেরিকার মধ্যস্থতা মানা হয়নি এবং ভবিষ্যতেও মানা হবে না। ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি জানিয়েছেন, অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কখনই ভারত কোনও তৃতীয় শক্তির সঙ্গে কথা বলবে না।
২) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিস্তারিত বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পহেলগাম জঙ্গি হামলার পরেই বিশেষ এই অপারেশন চালায় ভারত। সেই সংক্রান্ত তথ্য দীর্ঘ ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দিয়েছেন বলে খবর। মোদী জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের মনোভাব গোটা বিশ্বকে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সাত প্রতিনিধি দলের একের পর এক দেশে যাওয়ার বিষয়টিও ট্রাম্পের কাছে তুলে ধরেছেন মোদী।
৩) ৩৫ মিনিটের ফোনালাপে ট্রাম্পকে মোদী স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানকে বুলেটের জবাব বুলেটেই দেবে ভারত। এমন কী সন্ত্রাসবাসকে যে যুদ্ধ হিসাবেই দেখা হবে তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন। ফলে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও শেষ হয়নি।
৪) ভারত -পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে আলোচনার সময় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। ট্রাম্পকে সাফ জানিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাণিজ্য নিয়ে কথা বলার সময় সেটা ছিল না।
৫) ভারত এবং পাকিস্তান সেনাস্তরে আলোচনার মাধ্যমেই সংঘর্ষবিরতি হয়েছে। পাকিস্তানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই যে সেটা হয়েছে তা-ও ট্রাম্পকে জানিয়ে দিয়েছেন মোদী। বলে রাখা প্রয়োজন, কানাডায় জি-৭ বৈঠকে যোগ দেন ট্রাম্প। অতিথি হিসেবে তাতে যোগ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীও। এই জি ৭ সম্মেলনে ট্রাম্প-মোদীর বৈঠকের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা বলে দ্রুত আমেরিকা ফিরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর এর পরেই তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মোদী। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।