স্মার্টফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিট করতে বলল ইরান সরকার। লাগাতার তেহরানের একাধিক শহরকে লক্ষ করে হামলা করছে ইজরায়েল। পালটা জবাব দিচ্ছে ইরানও। আর এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের মানুষকে হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিট করতে নির্দেশ দিল সে দেশের সরকার। সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে দেশের মানুষকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন এই নির্দেশ?
জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে মেটার অধীনে থাকা এই মেসেজিং অ্যাপ দেশের মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য জোগাড় করছে এবং তা ইজরায়েলে পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি। গত কয়েক বছর ধরেই তেহরানে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম নিষিদ্ধ। এমনকী দীর্ঘ সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ এবং গুগল প্লে নিষিদ্ধ ছিল।
২০২৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় তেহরান সরকার। ইনস্টাগ্রাম এবং টেলিগ্রামের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপও বেশ জনপ্রিয়। কয়েক মিলিয়ন ইউজার রয়েছে সে দেশে। কিন্তু সরকারের হঠাৎ নির্দেশিকায় অনেকেই স্মার্টফোন থেকে হোয়াটস অ্যাপ ডিলিট করতে শুরু করেছেন বলেই দাবি এক সংবাদমাধ্যমের। যদিও এহেন নির্দেশিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যাপকে নিষিদ্ধ করতেই এহেন নির্দেশিকা বলে দাবি মেটার।
এক বার্তায় হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, যখন প্রয়োজন সেই সময় এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এটা পরিষেবা বন্ধ করার একটা অজুহাত বলেও দাবি বিশ্বের জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপের। তাঁদের দাবি, ইউজারদের কোনো অবস্থান ট্র্যাক করা হয় না। এমনকী একে অন্যকে পাঠানো ব্যক্তিগত তথ্যও ট্র্যাক করা হয় না বলেও দাবি সংস্থার। শুধু তাই নয়, কোনও সরকারকেই হোয়াটস অ্যাপ ব্যক্তিগত তথ্য দেয় না বলেও বার্তাও জানানো হয়েছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, ইরান এবং ইজরায়েল সংঘাত দিনে দিনে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। একে অপরের বিরুদ্ধে লাগাতার চলছে বিমান ড্রোন হামলা। দুদেশেই বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। দলে দলে মানুষ তেহরান ছেড়ে পালাচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় লম্বা গাড়ির যানজট। এর মধ্যেই ইরান সরকারের এহেন নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক।