আবার পাকিস্তান। আবারও সেই জাফর এক্সপ্রেস। বুধবার সকালে বড়সড় দুর্ঘটনা। সিন্ধ প্রদেশে জেকোকাবাদের কাছে রেললাইনে তীব্র বিস্ফোরণের জেরে লাইনচ্যুত কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস। বেলাইন হয়ে যায় ট্রেনের ছ’টি কামরা। হতাহতের খবর মেলেনি। তবে মাত্র তিন মাস আগেই এই জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করেছিল বিদ্রোহী ‘বালোচ লিবারেশন আর্মি’।
বুধবারের ট্রেন দুর্ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রাণভয়ে যাত্রীদের ট্রেন থেকে নেমে আসতে দেখা যাচ্ছে। গৃহযুদ্ধে জেরবার পাকিস্তান। উত্তেজনা বালোচিস্তানে। সেখান থেকেই পেশোয়ারের উদ্দেশে নিয়মিত প্যাসেঞ্জার ট্রেন জাফর এক্সপ্রেস চলে। ১৬৩২ কিলোমিটাপ পথ পাড়ি দিতে সময় নেয় প্রায় ৩৪ ঘণ্টা ১০ মিনিট। চলতি বছরের মার্চ মাসেই পাকিস্তানের দক্ষিণ কোয়েটায় পাহাড়ি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করেছিল বালোচ আর্মি। প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল ট্রেনটিতে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত করানো হয়। পণবন্দি করা হয় শয়ে শয়ে যাত্রীদের। প্রায় কুড়ি জন পাক সেনার আধিকারিককে মেরে দেয় বিএলএ। যদিও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দাবি তাদের হাতেই নিহত হয়েছেন বালোচ আর্মির বহু সদস্য। ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে দাবি করে সেনা।
নিজের ঘরেই অশান্তিতে নাজেহাল পাকিস্তান। সে দেশের একেবারে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বালোচিস্তান। পাকিস্তান সরকারের হাতে রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার ও অর্থনৈতিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি তুলেছে বালোচিস্তান। আর সে কারণেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বার বার সংঘাতে জড়াচ্ছে বালোচিস্তানের জাতীয়তাবাদীরা। পাকিস্তানের অভিযোগ এই বিক্ষোভের নেপথ্যে ভারতের মদত আছে। ভারত কোনও দিন এই অভিযোগ মানেনি।