স্ত্রীর অত্যাচারে স্বামীর আত্মহত্যা, এই অভিযোগের মামলায় চার বছর কেটে গেলেও তদন্তে অগ্রগতি নেই। ফরেনসিক রিপোর্ট এখনও আসেনি, মাঝের কয়েক মাসে কোনও পদক্ষেপও হয়নি, এই পরিস্থিতিতে তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে কড়া প্রশ্ন তুলল আদালত।
ঘটনা ২০২১ সালের। প্রেম করে বিয়ের পর হাওড়ার বালির এক ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ওই দম্পতি। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন স্বামী। সেই চাপে শেষমেশ আত্মহত্যা করেন তিনি।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিল বালি থানায় যুবতীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে FIR দায়ের করে মৃতের পরিবার। তদন্তে নামে পুলিশ। গত বছর এপ্রিল মাসে ফরেনসিক নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলেও, এখনও রিপোর্ট মেলেনি।
শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানিতে জাস্টিসের প্রশ্ন, “রিপোর্ট ছাড়া কীভাবে তদন্ত ক্লোজ করা হয়? কেন সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না?” বিচারপতি আরও বলেন, “একজন বাবা ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়ে বছরের পর বছর ঘুরছেন। তাঁকে তো আর ফেরানো যাবে না, অন্তত ন্যায়বিচার দিতে হবে।”
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২3 সালের নভেম্বরে ফের তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ, নথি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির আগে কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি, মাঝের তিন মাস তদন্তে কার্যত স্থবিরতা ছিল।
বিচারপতির মন্তব্য, তদন্তকারীরা সম্ভবত এই ধরনের স্পর্শকাতর মামলার জন্য পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ নন। রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা দক্ষ, এমন তদন্তকারীদের নাম সুপারিশ করতে। একইসঙ্গে স্পষ্ট করা হয়েছে, শুধু ফরেনসিক রিপোর্টের ওপর ভরসা করে বসে থাকলে চলবে না, আরও দিক থেকে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।
মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।