বিতর্কে অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’। স্বাধীনতার লড়াইয়ে বাংলার অবদানকে ছোট করে দেখানোর অভিযোগ। একই সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। আর এই অভিযোগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় দায়ের হল মামলা। ছবির সাত প্রযোজকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বিএনএসের একাধিক ধারায় এই মামলা হয়েছে।
তথ্য বিকৃতি করার অভিযোগে ক্ষুব্ধ শাসকদল তৃণমূল। এমনকী এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, ‘বাংলার এই অসম্মান সহ্য করা হবে না। এর উত্তর মানুষ দেবে’।
কেন বিতর্ক?
‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’ এর একটি অংশকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। ছবিতে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের, বিশেষ করে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু এবং বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ। ক্ষুদিরাম বোসকে ক্ষুদিরাম সিং হিসাবে দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, অমৃতসরের বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে বীরেন্দ্র কুমার হিসেবে সিনেমাতে দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’ মুক্তি পায়।
সেই সময় থেকেই এই বিষয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তথ্য বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবিটি ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পায়। এরপরেই আইনি জটিলতা। জানা গিয়েছে, রণজিৎ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি ছবির সাত প্রযোজকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন বিধাননগর থানায়। এই বিষয়ে চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুধবারই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ক্ষুদিরামকে বলা হচ্ছে ক্ষুদিরাম সিং। স্বাধীনতা সংগ্রামী অসম্মান কখনই সহ্য করা হবে না। অন্য রাজ্যের কাউকে অসম্মান করা হয় না।
ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলার ব্রেন ক্যাপচার করবেন ভেবে থাকলে, বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে। দলের তরফেও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। জেনে শুনে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। তাঁর কথায়, জেনে বুঝে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এরপরেও ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’ সেন্সরের ছাড়পত্র পেল তা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূল নেতার।