কলকাতা ফুটবল লিগ ২০২৪ এর চ্যাম্পিয়ন কারা হবেন তার ফয়সালা এখনও অধরাই রয়ে গেল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। যেখানে দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এই মামলায় লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। এদিন বিচারপতি বলেন “এই ধরনের মামলা বহুদিন ধরে চলতে পারে কিন্তু এটা ঠিক না। কীভাবে এর সমাধান বের করা যায়?” ১ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ট্রফি। ৪০ তম বার কলকাতা লিগ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে ঢোকা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু আদালতের স্থগিতাদেশে সেটাতে বাধা পড়ল। ডায়মন্ড হারবার এফসির অভিযোগের ভিত্তিতে ইস্টবেঙ্গলকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন্স ঘোষণা করায় ১৯ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয় আলিপুর আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইস্টবেঙ্গল।
আসন্ন মরশুমের জন্য কলকাতা লিগের(Kolkata League schedule released) সূচি ঘোষণা করেছে আইএফএ(IFA)। যদিও এখনও পর্যন্ত গত মরশুমের প্রিমিয়ার ডিভিশনের চ্যাম্পিয়ন দলের নাম ঘোষণা হয়নি। হাইকোর্টে ঝুলে আছে মামলা। ইস্টবেঙ্গল না ডায়মন্ডহারবার এফসি, কার ক্যাবিনেটে ঢুকবে ট্রফি, আদালতেই পরিষ্কার হবে।
ডায়মন্ড হারবার এফসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিএফএল আরও কয়েকমাস আগে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সিএফএলের শেষ ম্যাচটা হয়েছিল ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য আইএফএ পরের ম্যাচটা ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাখে। ২০২৫-এর শুরু থেকেই ১৩ ও ১৮ ফেব্রুয়ারিতে ম্যাচ না রাখার অনুরোধ আইএফএ-কে করেছিল তারা। কিন্তু, আইএফএ উত্তর দিতে দেরি করে এবং দুটো ম্যাচের মাঝে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধান রাখেনি(১৬ ফেব্রুয়ারি আইলিগ টু-তে ডায়মন্ড হারবার এফসির ম্যাচ ছিল নেরোকা এফসির বিরুদ্ধে)।
তারপরে ১৩ তারিখের ম্যাচ বাতিল, ইস্টবেঙ্গলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা এবং ১৮ তারিখে ম্যাচ না দেওয়ার দাবিতে মামলা করে ডায়মন্ড হারবার এফসি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সময়মতো স্টেডিয়ামে পৌঁছে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু যায়নি ডায়মন্ড হারবার। তারা আগেই জানিয়েছিল, এই ম্যাচে ফুটবলার নামানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু ডায়মন্ড হারবারের কথা না শুনে আইএফএ ম্যাচ আয়োজন করে এবং সেখানে ডায়মন্ড হারবার দল নামায়নি। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ম্যাচ কমিশনার ম্যাচ বাতিল ঘোষণা করেন।
