পাকিস্তানের সঙ্গে আর কোনোদিন সিন্ধু জল চুক্তি পুনর্বহাল করবে না ভারত। ইসলামাবাদকে ভাতে মারতে কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে অনড় নয়াদিল্লি। সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পরই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি রদের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। পাকিস্তান কোনওদিনই সিন্ধু জল চুক্তির শর্ত মানেনি বলে দাবি অমিত শাহের।
ওই সাক্ষাৎকারে শাহ স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, “সিন্ধু জল চুক্তি পুনর্বহাল করা হবে না। আন্তর্জাতিক কোনও চুক্তি এভাবে একতরফা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। কিন্তু পাকিস্তানের কার্যকলাপে আমরা তা করতে বাধ্য হয়েছি। ওই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল শান্তি ও সমৃদ্ধি। কিন্তু পাকিস্তান তা লঙ্ঘন করেছে। কাজেই চুক্তির প্রয়োজন ফুরিয়ে গিয়েছে।”
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সবুজে ঘেরা বৈসরন উপত্যকায় ২৬ জন পর্যটককে নির্বিচারে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ হামলার দায় স্বীকার করে। এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কার্যত কূটনৈতিক স্ট্রাইক করে ভারত। একগুচ্ছ কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম হল পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করা।
শাহ আরও বলেন, “ভারতের জল ভারতই ব্যবহার করবে। পাকিস্তানে এতদিন যে জল যেত, তাও আমরা নেব। খাল কেটে সেই জল রাজস্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। জল না পেয়ে শুকিয়ে মরবে পাকিস্তান। কাশ্মীরে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীরের পর্যটনকে বিপন্ন করা ও যুব সম্প্রদায়কে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করেছে। আর তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে আমরা দ্বিতীয়বার ভাবব না। পাকিস্তান আমাদের নাগরিকদের টার্গেট করেছিল। ভারত ওদের বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে মোক্ষম জবাব দিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভারতের সীমিত প্রত্যাঘাতেই কুপোকাত হয়েছে পাকিস্তান।”
কংগ্রেসকেও একহাত নেন শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের কাছে আমার প্রশ্ন, তাদের জমানায় কী হত? সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ওরা কীভাবে প্রশ্ন তোলে? মন্ত্রী বদল করা ছাড়া আর কোন কাজটা ওরা করেছে। বাকি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে একা কংগ্রেস আমাদের সমালোচনা করছে, ওদের তা মানায় না।”