এ যেন থেমেও থামছে না। সংঘর্ষ বিরতির পরেও ইজরায়েল এবং ইরান, একে অপরের বিরুদ্ধে মিসাইল হামলা চালিয়েছে। যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, একেবারে সরাসরি ক্ষোভ আছড়ে পড়ল ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের উপর। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ইজরায়েল যেন ইরানে আঘাত আর না করে। সমস্ত বিমান যাতে ফিরিয়ে নেওয়া হয় সেই কথাও বলা হয়েছে। প্রায় ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সংঘাত চলেছে। দুদেশেই এখনও পর্যন্ত ৪০০ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংঘাতে জড়িয়েছে আমেরিকাও।
তেহরানের পরমাণুঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বোমারু। পাল্টা জবাব দিয়েছে ইরানও। মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ধেয়ে যায় মিসাইল। আর এরপরেই যুদ্ধে ‘উলাট-পুরান’। সংঘর্ষবিরতির কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাতে মান্যতা দেয় জেরুজালেম। সংঘর্ষবিরতির কথা বলে ইরানও। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন ঘোষণার কয়েকঘণ্টার মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে মিসাইল দাগতে শুরু করে।
রাডার, সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে চলে এই হামলা। যা দেখে চরম ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প। স্পষ্ট জানান, ইজরায়েল এবং ইরান, দুই দেশই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে নেটোর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। আর সেখানে দুই দেশ যেভাবে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে তা নিয়ে কার্যত ক্ষোভ ধরা পড়ে।
এমনকী এই বিষয়ে একটি টুইট করা হয়। যেখানে ট্রাম্প লেখেন, ইজরায়েল ইরানে আর আঘাত করবে না। সমস্ত বিমান ঘুরিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়। সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর করার কথাও বলা হয়। যদিও ইজরায়েলের দাবি ছিল, সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পর ইরানের দিক থেকে ধেয়ে আসে প্রথম মিসাইল। এরপরেই পাল্টা জবাব। তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় ঘোষণার পর শান্তি ফেরে কিনা সেদিকেই নজর সবার।
এদিন ট্রাম্প সাংবাদিক বৈঠকে আরও বলেন, ইরানের পরমাণু ক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নতুন করে পরমাণু কার্যকলাপ তেহরান চালাবে না বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের।