Axiom Mission (Ax-4) অভিযানে সঙ্গীদের নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। গত ৪০ বছর আগে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন রাকেশ শর্মা। শুভাংশুর হাত ধরে আরও এক ইতিহাস। বুধবার ভারতীয় সময় ১২টা নাগাদ বিশেষ মহাকাশযানে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আন্তজাতিক স্পেস সেন্টারের উদ্দেশ্যে উড়ে গিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন সহ আরও তিন মহাকাশচারী।
স্পেসএক্স এবং অ্যাক্সিওম স্পেস কোম্পানির সাহায্যে এই উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। কিন্তু জানেন শুভাংশু শুক্লাকে মহাকাশে পাঠানোর পিছনে কোন সংস্থা আছে? কত বড় এই সংস্থার ব্যবসা? কী করে তারা?
হিন্দি নিউজ চ্যানেল ‘আজতক’-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শুভাংশু শুক্লাকে মহাকাশে Axiom Space নামে একটি সংস্থা পাঠিয়েছে। এটি একটি বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ২০১৬ সালে এই সংস্থা তৈরি হয় এবং টেক্সাসের হিউস্টনে Axiom Space এর সদর দফতর। মূলত মহাকাশে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা এবং সমীক্ষা চালানো এই সংস্থার কাজ। এই কোম্পানি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এর জন্য প্রাইভেট মিশনের আয়োজন করে থাকে।
একাধিক মিশনের আয়োজন করে
Axiom Space এ ৫০০ এরও বেশি বিজ্ঞানী কাজ করেন। এমনকী এই তালিকায় নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী, মহাকাশ গবেষক, ইঞ্জিনিয়াররাও রয়েছেন। এমনকী সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আর সিইও মাইকেল সাফ্রেডিনি নাসার সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন। নাসার সঙ্গে একাধিক মিশন করেছেন। Axiom Mission (Ax-4) এটি সংস্থার চতুর্থ মিশন। যাতে অংশ নিয়েছেন ভারতীয় এই মহাকাশচারী।
সংস্থার বিনিয়োগ
Axiom Space মিশন লঞ্চ করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে থাকে। ২০২১ সালে সংস্থার ভ্যালুয়েশন ছিল প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু এখন এর ভ্যালুয়েশন বেড়ে ১.২৬ বিলিয়ন ডলার (১০,০০০ কোটি টাকা) হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মহাকাশ ও গবেষণায় সংস্থার বিনিয়োগ চমকে দেওয়ার মতো। সংস্থার টার্গেট মহাকাশে প্রাইভেট আন্তজাতিক স্পেস সেন্টার তৈরি করা।
ওই সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, Axiom Mission (Ax-4) অভিযানের একটি আসনের জন্য ভারত প্রায় ৭০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৫৫০ কোটি টাকা। মহাকাশ স্টেশনে ১৪ দিন থাকবেন ভারতীয় এই মহাকাশচারী। যা খবর, ৬০টি পরীক্ষা করা হবে সেখানে। আর এই প্রত্যেকটি পরীক্ষায় অংশ নেবেন শুভাংশু।
