পাত্র কল্যাণীয় সাদাব। পাত্রী কল্যাণীয়া শবনম। বোঝাই যাচ্ছে মুসলিন সম্প্রদায়ের বিয়ের কার্ড। কিন্তু কার্ডের বাঁদিকে উপরে রয়েছে হিন্দুদের দেবতা গণেশের ছবি। স্রেফ তাই নয়, নিমন্ত্রণ পত্রের সম্ভাষণে ‘ওয়ালেইকুম সালাম’ এর বদলে লেখা রয়েছে ‘ওয়ালেইকুম প্রণাম’। অদ্ভুত এই বিয়ের কার্ডই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বলছেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির। অনেকে আবার বলছেন কার্ডটি নিছকই ফটোশপে এডিট করা। কিন্তু আসল সত্যিটা কী?
ভাইরাল ওই কার্ড অনুযায়ী, বিহারের ভাগলপুরে ২১ জুন ২০২৫ হল বিয়ের তারিখ। ইনস্টাগ্রামে একটি মিম অ্যাকাউন্ট থেকে ওই কার্ডের ছবি পোস্ট করা হয়। মুসলিমদের বিয়ের কার্ডে হিন্দু দেবদেবীদের ছবি দেখা যায় না। তবে ভাইরাল ওই কার্ডে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বোঝানোরও চেষ্টা করে হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু সমস্যা রয়েছে বিয়ের তারিখেই। কার্ডে লেখা রয়েছে ২১ জুন রবিবার। কিন্তু ২১ জুন ছিল শনিবার। উপরন্তু কার্ডে দেওয়া মোবাইল নম্বরটিও ১১টি সংখ্যার। ভারতে সাধারণত মোবাইল নম্বর ১০টি সংখ্যার হয়ে থাকে।
সার্বিকভাবে তাই বিয়ের ওই কার্ডটি ভুয়ো বা এডিটেড বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে গিয়েছে কার্ড নিয়ে। মজা করেই কেউ কেউ লিখছেন, “গণপতি বাপ্পা ইনশাল্লাহ মোরিয়া” কিংবা “তুলসী দাস খান”। অনেকেই আবার তারিখ বা ফোন নম্বরের ভুল ধরে ফেলেছেন এক নিমেষেই। মজা করে নেটিজেনরা বলছেন, ফোন নম্বর তো নয়, যেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর। তবে যাই হোক না কেন, মিমের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বড় বার্তা দিয়েছে ওই পোস্ট। এমনটাই মনে করছেন নেটিজেনদের সিংহভাগ।