গত বছর বাংলাদেশে গড়ে ওঠা জুলাই আন্দোলনের জেরেই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।২০২৪ সালের ১ জুলাইয়ে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা তুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল।পরে সেই আন্দোলন সরকার উৎখাতের আন্দোলনে পরিণত হয়। বাংলাদেশে গত বছর শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিনদিনের মাথায় ৮ অগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন মুহাম্মদ ইউনুস।বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতনের ঘটনাবহুল ৫ অগাস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যেই রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যুর দিন ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এখানেই শেষ নয়।নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরুর দিন ৮ অগাস্টকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে। ডেইলি স্টারের খবর অনুযায়ী বুধবার বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।এতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি বছর ৮ আগস্ট তারিখকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপ সচিব তানিয়া আফরোজের জারি করা নির্দেশিকায় বাংলাদেশ সরকারের সমস্ত অফিস এবং দূতাবাসগুলিতে দিনটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের কথা বলা হয়েছে।
‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই দ্রুত নির্বাচন না করানো থেকে নানা ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।অনেকে মনে করছেন আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও কোনও ব্যক্তির শপথ গ্রহণের দিনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করাটা ঠিক কাজ নয়। পাশাপাশি ৫ আগস্টের দিনটিকে এতটা গুরুত্ব দেওয়াও ঠিক হচ্ছে না বলে মনে করছেন কেউ কেউ।একে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলির একাংশ।