ইজরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধ আপাতত শেষ। কিন্তু পশ্চিম এশিয়াতে উত্তেজনা এখনও কমছে না। কারণ, গাজাতে বোমাবর্ষণ এখনও থামায়নি ইজরায়েল। নিশানা হামাস। প্রকৃতপক্ষে, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের জেরে সে দেশের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট না হলেও, ইরান সমর্থিত হামাসের অবস্থা খারাপ।
একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ সংঘর্ষে হামাসের বেশিরভাগ কমান্ডারই মৃত। আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অবস্থায় হামাসের শিরদাঁড়া প্রায় ভেঙে পড়েছে বলাই যায়। হামাসের কাছে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে অন্দরের বিদ্রোহে। যোদ্ধাদের একটি বড় অংশ সংগঠন ছেড়ে যেতে চাইছেন। হামাসের সঙ্গে যুক্ত সূত্র জানিয়েছে, হামাসের সদস্যরা যুদ্ধ করলেও ইজরায়েল ইতিমধ্যে প্যালেস্টাইনেরই তিন জনজাতিকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামিয়ে দিয়েছে। গাজায় যে মানবসঙ্কট যে পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে তা অভূতপূর্ব। ফলে আন্তর্জাতিক স্তর থেকেও হামাসকে যুদ্ধ বন্ধ করার চাপ দেওয়া হচ্ছে। গাজার স্থানীয় মানুষও হামাসকে যুদ্ধ থামানোর জন্য চাপ দিচ্ছে বলে সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
আপাতত হামাস এ সবে কান না দিলেও তার অবস্থা দুর্বল। জানা গিয়েছে, বর্তমানে হামাস নিজের দলত্যাগী নেতা ইয়াসির আবু শাবাবের বিদ্রোহে এতটাই বিরক্ত যে তাঁকে হত্যা করতে লোক পাঠিয়েছে। বলা হচ্ছে ইয়াসির রাফার কোথাও লুকিয়ে রয়েছে। রয়টার্স ইতিমধ্যে হামাসের সঙ্গে যুক্ত এবং ইজরায়েল মোট ১৬ জন সুরক্ষাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, হামাস দুর্বল হয়ে পড়লেও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও খুব কম সংখ্যক এলাকাই এখন হামাসের কব্জায় রয়েছে।
Leave a comment
Leave a comment