ইউনূসের ‘নতুন বাংলাদেশে’ ফের একবার আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা। সে দেশে এক দুর্গামন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় চড়ছে বিক্ষোভ। এ বিষয়ে ভারতের তরফেও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রবল চাপের মুখে মুখ খুলল বাংলাদেশ সরকার। কার্যত সংখ্যালঘুদের পাশে না দাঁড়িয়ে ঢাকার দাবি, ওই দুর্গামন্দির নাকি বিনা অনুমতিতে রেলের জমির উপর তৈরি।
সংবাদসংস্থা এএনআই’তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রকের দাবি, গত বছর দুর্গাপুজোর সময় রেলের জমির উপর অস্থায়ীভাবে একটি পুজো মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময় অনুমতি দেওয়া হলেও পরে তা সরিয়ে নেওয়ার কথাও স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল বলে দাবি ইউনূস সরকারের।
শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে মন্ত্রকের আরও দাবি, আয়োজকরা কোনও নিয়ম মানেননি। আর তা না মেনে সেখানে কালী ঠাকুরের মূর্তি বসানো হয়েছিল। এমনকী স্থায়ী মন্দিরও তৈরি করা হয়। যা বাংলাদেশ রেলের সঙ্গে হওয়া এক চুক্তির সম্পূর্ণ বিরোধী বলেও সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে বলে প্রকাশ সংবাদমাধ্যমে।
এই প্রসঙ্গে ইউনূস সরকারের আরও দাবি, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে বারবার নিষেধ করা হয়েছিল। রেলওয়ে লাইনের পাশ থেকে সরে আসার জন্য বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও এলাকা ছাড়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরেই বলপ্রয়োগ করে রেল লাইনের পাশ থেকে বেআইনি দখলদারদের সরিয়ে দেওয়া হয় বলে বিবৃতিতে দাবি।
তবে মন্দির ভাঙচুর প্রসঙ্গে সরকারের দাবি, মন্দিরের প্রতিমা স্থানীয় হিন্দু ভাইদের সঙ্গে নিয়েই স্থানীয় একটি নদীতে বিসর্জন করা হয়। এমনকী যথাযোগ্য শ্রদ্ধার সঙ্গেই তা করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
কড়া বার্তা ভারতের
দুর্গামন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় কড়া বার্তা দেয় ভারত। একইসঙ্গে ইউনূস সরকারের সমালোচনাও করা হয়। বিদেশমন্ত্রক বিবৃতিতে স্পষ্ট জানায় যে, সরকার কট্টরপন্থীদের পক্ষ নিচ্ছে। মন্দিরের সুরক্ষা না বাড়িয়ে যেভাবে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তা সম্পূর্ণ ভাবে অযৌক্তিক বলে দাবি বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটছে যার কারণে আমরা হতাশ, বলেও মন্তব্য। রণধীর আরও জানান, বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের, তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় স্থানগুলোকে রক্ষা করা।