খুব শীঘ্রই নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি নিয়োগ করতে চলেছে বিজেপি। জেপি নাড্ডার উত্তরসূরী বেছে নেওয়ার কাজ প্রায় শেষের পথে। সূত্রের খবর, সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বিজেপির পছন্দের প্রার্থীকে ইতিমধ্যেই সিলমোহর দিয়েছে আরএসএস-ও। রাজ্যগুলির বিজেপি সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তারপরই সর্বভারতীয় সভাপতি পদেও বদল হবে বলে জানান এত প্রবীণ বিজেপি নেতা।
২০২০ সালে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা ওরফে জেপি নাড্ডা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর পদের মেয়াদ ফুরোনোর কথা ছিল। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন ও হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মেয়াদ বর্ধিত করা হয়েছিল। আর এবার নভেম্বরে বিহার বিধানসভা ভোটের আগেই নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি আসছে বিজেপিতে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতিদের নির্বাচনের পরই সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বদল হয়। সাধারণত একজন পদপ্রার্থীই থাকেন। সর্বসম্মতিতে তিনিই সভাপতি নির্বাচিত হন। গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৭টি রাজ্য সংগঠনের মধ্যে ১৭টিতে নতুন সভাপতি ঘোষণা করেছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিতে বিজেপির নতুন সভাপতি নির্বাচিত করা হয়নি।
নতুন সভাপতি ঘোষণা নিয়ে দলের অন্দরেও উন্মাদনা কাজ করছে বলে জানান এক প্রবীণ বিজেপি নেতা। দলের নিয়ম অনুযায়ী, বুথস্তরে অর্ধেক নির্বাচন হয়ে গেলে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন করা হয়। আবার অর্ধেক মণ্ডলের সভাপতিরা নির্বাচিত হলে জেলা সভাপতিদের নির্বাচন করা হয়। জেলা সভাপতিদের অর্ধেক নির্বাচন হয়ে গেলে রাজ্য সভাপতি নির্বাচন করা হয়। এরপর একইভাবে অর্ধেক রাজ্যে রাজ্য সভাপতিরা নির্বাচিত হয়ে গেলে নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি ঘোষণা করে বিজেপি। নাড্ডার উত্তরসূরী বাছতে সম্প্রতি বৈঠকও করেছে বিজেপি।
রাজ্য সভাপতিদের নির্বাচনের দায়িত্ব তিন শীর্ষ নেতৃত্বকেও নিয়োগ করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে মহারাষ্ট্রে, উত্তরাখণ্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রাকে ও পশ্চিমবঙ্গে রবি শঙ্কর প্রসাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে কোনও পরিচিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেই বসানো হতে পারে বলে জল্পনা। সেক্ষেত্রে মোদীর মন্ত্রিসভায় কিছুটা রদবদলও হতে পারে।