‘গাঁয়ে না মানলেও আপনি মোড়ল’ প্রবাদ বাক্যের সব থেকে ভাল উদাহরণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনও যেচে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থকারী হতে চাওয়া, আবার কখনো উপযাচক হয়ে ভারত-পাকিস্তানের সমস্যা শেষ করার কথা বলে বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়েও মার্কিন প্রেসিডেন্টের যে শিক্ষা হয়নি তা ফের প্রমাণিত হল উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে।
এবার ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার একনায়কের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক মধুর করার কথা বলছেন। শুধু তাই নয় এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন তাঁর বেশ ভাল বন্ধু, তাই তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বন্ধুর সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে চান ।
এ প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্পের বার্তা, আসলে তিনি গোপন সূত্রে খবর পেয়েছেন যে, শীঘ্রই উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় সংঘর্ষ শুরু হতে চলেছে। তাই তিনি বন্ধু কিমের সাহায্যে এগিয়ে যেতে চান। তবে এ বিষয়ে কিম জং উনকে কোনও চিঠি লিখেছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে গিয়ে ট্রাম্পের জবাব, সেটা প্রয়োজনীয় নয়।
যদিও উত্তর কোরিয়ার শাসক কিমের তরফে ট্রাম্পকে মধ্যস্থতা করার জন্য ডাকা হয়েছে কিনা তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। চলতি মাসেই সিওলের এক নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে ট্রাম্পের কোনো চিঠি বা হস্তক্ষেপের ইচ্ছে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তারপরেও ট্রাম্পের এই উক্তি বিতর্ক ছাড়া কিছুই নয়।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প যখন প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তখন তাঁর সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার একনায়কের তিনটি বৈঠক হয়। ২০১৭-২০২১ এর মধ্যবর্তী এই সময় দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চিঠির আদান-প্রদানও ঘটে। যদিও তারপর সেই সম্পর্কের সেখানেই ইতি ঘটে। সেই সময় আমেরিকা কিমকে পরমাণু হাতিয়ার তৈরি বন্ধ করার কথা বলে। তখনই কিম আমেরিকার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে।