বছর ঘুরলেই বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলই। ২৬ এর নির্বাচন বঙ্গ বিজেপির কাছে পাখির চোখ। তবে সংগঠন একটা বড় চ্যালেঞ্জ সুকান্ত-শুভেন্দুদের কাছে। একই সঙ্গে দলের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দেওয়াটাও বড় চ্যালেঞ্জ। আর এর মধ্যেই বাংলার বিজেপিতে রাজ্য সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। জানা যাচ্ছে, রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
বাংলায় রাজ্য সভাপতি নির্বাচনকে এবার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে দিল্লির নেতারা। ইতিমধ্যে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে বিজেপি সংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদকে। সুত্রের খবর, আগামী ২ জুলাই সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা নেবেন কেন্দ্রীয় এই নেতা। মনোনয়ন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া সেদিনই অর্থাৎ ২ তারিখই সম্পন্ন করা হবে বলে সূত্রের খবর। আগামী ৩ তারিখ অর্থাৎ পরের দিন নির্বাচনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরবর্তী রাজ্য সভাপতি নাম ঘোষণা করা হবে। ওই দিনই অর্থাৎ ৩ তারিখেই সভাপতি বরণ অনুষ্ঠান হবে। এর জন্য বাইপাসের একটি প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া নেওয়ার কাজও ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
বলে রাখা প্রয়োজন, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্য বিজেপির সভাপতি হন সুকান্ত মজুমদার। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দিল্লির তরফে বালুরঘাটের সাংসদের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের ব্যাটন। যদিও পরে প্রদেশ পরিষদের বৈঠক ডাকা হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য সভাপতি হিসাবে সুকান্তের নামে শিলমোহর দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তাঁর হাতেই দলের রাশ। রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন একাধিক সময় তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক ইস্যুতে প্রকাশ্যে এসেছে দলের গোষ্ঠী কোন্দল।
বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপি বড়সড় ধাক্কা খায়। সেই সময়ের পর থেকেই দলের মধ্যেই রাজ্য সভাপতি হিসাবে নতুন মুখের দাবি ওঠে দলের মধ্যেই। বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপিতে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি রয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্য সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে জোর জল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে সামনের বছরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। ফলে আরও সময় এই রাজ্যে দিতে হবে। এই অবস্থায় শীর্ষ নেতৃত্ব সুকান্তের উপরেই আস্থা রাখবে নাকি অন্য কেউ দায়িত্ব নেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বেশ কিছু নাম রাজ্য সভাপতি পদের জন্য শোনা যাচ্ছে। তবে রাজ্য বিজেপির রাশ কার হাতে থাকবে তা আগামী মাসের শুরুতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।