মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ভারতীয় মহিলা। নিখোঁজ ওই মহিলার নাম সিমরন বলে জানা যাচ্ছে। বয়স মাত্র ২৪ বছর। জানা গিয়েছে, বিয়ের জন্য আমেরিকায় গিয়েছিলেন তিনি। নিউ জার্সিতে পৌঁছনোর পরই আর খোঁজ মিলছে না সিমরনের। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও। লিন্ডেনওল্ড পুলিশ জানিয়েছে, ৫ দিন পর বুধবার এই বিষয়ে বিস্তারিত তাঁরা জানতে পারেন। এরপরেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শহরে লাগানো একটি সিসিটিভিতে সিমরনের ভিডিও ধরা পড়েছে। যেখানে তাঁকে মোবাইল ঘাঁটতে দেখা যাচ্ছে। সিমরনের শারীরিক ভঙ্গি দেখে স্থানীয় পুলিশের অনুমান, যেভাবে সিমরন ফোন বারবার ঘাটছিলেন, তা দেখে মনে হচ্ছে যে কারও জন্য সম্ভবত অপেক্ষা করছেন। তিনি যে কোনও বিপদে পড়েছেন, তা কোনও ভাবেই তাঁর বডিল্যাঙ্গুয়েজে ধরা পড়েনি বলেও দাবি পুলিশের। আর সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। মহিলার পরিবার এবং আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে মার্কিন পুলিশ।
তবে সিমরনের আমেরিকায় কোনও পরিচিত নেই বলেই দাবি পুলিশের। এমনকী ইংরেজি বলতেও তিনি জানেন না বলেও দাবি। পুলিশের কাছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ যে, সিমরনের হাতে যে ফোনটি রয়েছে সেটি শুধুমাত্র ওয়াইফাই’তে চলে। ফলে কোনওভাবে ট্র্যাক করাও সম্ভব হচ্ছে না। মার্কিন এক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত সিমরনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি লিন্ডেনওল্ড পুলিশ। আধিকারিকদের দাবি, সম্ভবত সিমরন বিয়ের জন্য আমেরিকাতে আসেনি। শুধুমাত্র বিনামূল্যে বিমান ভ্রমণ করতে চেয়েছিলেন বলে দাবি।
যদিও এই বিষয়ে নিশ্চিত এখনও নন তদন্তকারীদের। এক্ষেত্রে পরিবারের বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, গত ২০ তারিখ নিউ জার্সিতে পৌঁছন সিমরন। বুধবার থেকেই রহস্যজনক ভাবে তাঁর আর খোঁজ মিলছে না। মার্কিন পুলিশ জানিয়েছে, সিমরনের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। ওজন প্রায় ৬৮ কেজি এবং তার কপালের বাম দিকে একটি ছোট দাগ রয়েছে। এছাড়াও শেষবার ধূসর রঙের সোয়েটপ্যান্ট, একটি সাদা টি-শার্ট, কালো ফ্লিপ-ফ্লপে সিমরনকে দেখা গিয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে স্থানীয় পুলিশের তরফে। শুধু তাই নয়, কোনও তথ্য থাকলে পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কোথায় যোগাযোগ করতে হবে তাও জানানো হয়েছে লিন্ডেনওল্ড পুলিশের তরফে