কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় বাংলা। আর এর মধ্যেই শাসকদল তৃণমূলের দুই নেতা বিধায়ক মদন মিত্র ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে বিতর্কের ঝড়। আর এহেন মন্তব্যের জন্য রবিবার সকালেই কামারহাটির বিধায়ককে শোকজ করেছে তৃণমূল। যদিও সেই চিঠি এখনও হাতে পাননি বলেই দাবি মদন মিত্রের। তবে সেই চিঠি পেলে কী উত্তর দেবেন তিনি? সেই উত্তরে বিধায়কের স্পষ্ট জবাব, ‘দলের ব্যাপার। প্রকাশ্যে কিছু বলব না’।
কিন্তু কেন বিতর্ক?
কসবার ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল। এর মধ্যেই এহেন ঘটনা নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘যদি ওই মেয়েটি যদি না যেত, তা হলে এই ঘটনা ঘটত না’। এখানেই শেষ নয়, ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়কের আরও মন্তব্য, ‘যাওয়ার আগে যদি জানিয়ে যেত অথবা সঙ্গে দু’–চারজন বন্ধুকে নিয়ে যেত, তা হলেও এই ঘটনা ঘটত না।’ আর এহেন মন্তব্য ঘিরে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিরোধী দলগুলিও।
এহেন মন্তব্যের পরেই দূরত্ব বাড়ায় দলও। রাতেই অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয় যে, মদন মিত্রের এহেন মন্তব্যের কোনওভাবেই একমত নয়। দলের তরফে নিন্দাও জানানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের আরও দাবি করা হয় যে, ‘এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।
আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—মহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে’। আর এরপরেই পালটা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ব্যাখ্যা দেন কামারহাটির বিধায়ক।
তাতে যে দল সন্তুষ্ট নন তা স্পষ্ট হয় রবিবার সকালে। মদন মিত্রকে শোকজ নোটিশ ধরানো হয় শাসকদলেরর তরফে। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, অযাচিত, অপ্রয়োজনীয় ও অসংবেদনশীল মন্তব্যে দলের ভাবমুর্তি আঘাত করেছে। এহেন মন্তব্যের জন্য তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আর এরপরেই এই ইস্যুতে মুখ খুললেন বিধায়ক। টিটাগরের দলীয় অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর দাবি, ‘আমি কোনও চিঠি পাইনি।’ মদনের কথায়, ‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। দলকেই যা জানানোর জানাব। প্রকাশ্যে কিছু বলব না’।