ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তেলেঙ্গানা। একটি রাসায়ানিক কারখানায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ২০। আহতদের ইতিমধ্যে স্থানীয় একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জোর সম্ভাবনা। যদিও ঘটনার পরেই কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। অভিশপ্ত ওই রাসায়ানিক কারখানার মধ্যে কেউ আটকে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে সাঙ্গারেড্ডি জেলার পাসমাইলরাম শিল্পতালুকে একটি রাসায়ানিক কারখানায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কীভাবে এতবড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরেই বিধংসী আগুন লেগে যায় ওই কারখানায়। ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টিরও বেশি ইঞ্জিন কাজ করছে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে আরও এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কারখানাটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। শুধু তাই নয়, ১০০ মিটার দূর থেকেও শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
এমনকী বহুদূর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলেও দাবি স্থানীয়দের। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অভিশপ্ত ওই কারখানাটিতে বিভিন্ন ধরণের রাসায়ানিক তৈরি হতো। যা সম্পূর্ণ দাহ্য বলে দাবি। দমকল আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, কোনও ভাবে শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে। কারখানাটিতে প্রচুর পরিমানে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার ফলে ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কারখানাটিতে ওষুধ তৈরির কাজ হতো।
যদিও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। অন্যদিকে স্থানীয় সুত্রে দাবি, ঘটনার সময় শতাধিকেরও বেশি শ্রমিক ওই কারখানায় কাজ করছিলেন। যদিও ঘটনার মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে বহু মানুষকে আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে। তবে কারখানার মধ্যে কেউ আটকে আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। গোটা এলাকা প্রশাসনের তরফে ঘিরে রাখা হয়েছে।