ব্রাহ্মণ ছাড়া কি পুজোআচ্চা হয়? কখনও কখনও কোথাও ছকভাঙা কাণ্ড ঘটে বটে আজকাল। তবে সেই সব উদাহরণকে অত্যন্ত ব্যতিক্রমী হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু গোটা একটা গ্রামে ব্রাহ্মণ পূজারী ঢোকা নিষিদ্ধ, এমন কখনও শুনেছেন! যদি কেউ ঢুকেও পড়েন কোনোমতে, তাদের পুজো-পাঠে রয়েছে কড়া নিষেধ!
ভারছেন কোথায় ঘটে এমন কাণ্ডকারখানা?
বিহারের মোতিহারি জেলার আদাপুরের টিকুলিয়া গ্রামে যদি কোনো ব্রাহ্মণ পুজো করতে গিয়ে ধরা পড়েন তাহলে তার কপালে রয়েছে দুঃখ। তাকে পেতে হবে শাস্তি । এই গ্রামে প্রবেশের মুখে এবং ভেতরের নানা স্থানে দেখতে পাওয়া যায় নিষেধাজ্ঞার পোস্টeর-বোর্ড। আসলে এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে রয়েছে এক গল্প।
বলা হয় গ্রামে এক ‘পিছিয়ে থাকা জাতির’(যাদব) গল্প কথাকারের সঙ্গে এক ব্রাহ্মণ দুর্ব্যবহার করার পর গোটা গ্রাম জুড়ে ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে এই পথ গ্রহণ করে সাধারণ মানুষ । গ্রামের মানুষজন জানান, যে সমস্ত ব্রাহ্মণদের বেদের জ্ঞানই নেই, যারা মদ-মাংস ভক্ষণ করেন তারা কীভাবে ব্রাহ্মণ-পূজারী হতে পারেন! তাদের পুজো করতে দেওয়া হবে না।
মোতিহারির এই গ্রামে মূলত পিছিয়ে পড়া জাতি-জনজাতির মানুষের বসবাস। এই গ্রামে ব্রাহ্মণরা না থাকলেও আশেপাশের গ্রামে তারা থাকেন। বেশ কিছুদিন আগে এই গ্রামের এক কথাকারের সঙ্গে পাশের গ্রামের ব্রাহ্মণরা ছোট জাতের প্রসঙ্গ তুলে ভীষণ দুর্ব্যবহার করে। তারপর থেকেই টিকুলিয়া গ্রামের মানুষ ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে এককাট্টা। পূজারী বামুনদের রুটিরুজি ধরেই টান মেরেছেন তারা।