চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ঘিরে হাইকোর্টেj আইনজীবী ও বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার কুণাল ঘোষ সহ আট জনের বিরুদ্ধে চলা আদালত অবমাননার মামলায় শুনানি হয়। শুনানি ছিল, বিচারপতি অরিজিৎ ব্যানার্জি, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের স্পেশাল বেঞ্চে। এ দিন কুণালের পক্ষে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কুণাল ঘোষের স্বপক্ষে আদালতে কল্যাণ ব্যানার্জির সওয়াল, আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ও গোপা বিশ্বাসের এক ইন্টার্ন-এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আদালত সুয়ো মোটো কনটেম্পট প্রসিডিংস শুরু করেছেন। তা নিরপেক্ষ নয়। তাঁর কথায়, ‘‘সুয়ো মোটো কনটেম্পট প্রসিডিংস শুরু করতে গেলে প্রধান বিচারপতির নিরপেক্ষ তথ্যের ওপর নির্ভর করা উচিত। এখানে সেই শর্ত পূরণ হয়নি।’’
আদালতে কুণাল ঘোষের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জি আরো বলেন, ‘‘আমি সাংবাদিক সম্মেলনে কিছু আইনজীবীর দ্বিচারিতা নিয়ে মন্তব্য করেছিলাম। বিচারপতির বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। ঘটনাস্থলেও উপস্থিত ছিলাম না। কনটেম্পট কিসের ভিত্তিতে?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ফিরদৌস শামিম সহ কয়েকজন আইনজীবী, যাঁদের মুখে সুপার নিউমেরারি পদের ঘোষণার সময় হাসি ছিল, তাঁরাই আবার সেই পদ চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন। এতে তো চাকরিপ্রার্থীরা বিভ্রান্ত হবেন। কুণাল ঘোষ শুধু সেই দ্বিচারিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন।’’
কল্যাণ ব্যানার্জি আরও বলেন, কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও প্রত্যক্ষ অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিক সম্মেলনে আমি শুধু বলেছিলাম, একজন আইনজীবী একটি বিষয়ে মামলা লড়ছেন আবার সেই বিষয়ের বিরোধিতায় আরেকটা মামলা লড়ছেন। এটা তো এথিক্সের প্রশ্ন। সেক্ষেত্রে আইনজীবীদের প্রশ্ন করা হলেই তা আদালত অবমাননা হয়ে যায়?’’
শুধু তাই নয়, এদিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনকে প্রমাণ হিসাবে তুলে ধরার বিরোধিতা করে কল্যাণ ব্যানার্জির যুক্তি, ‘‘নিউজ রিপোর্ট এভিডেন্স নয়। যদি সেটাই ভিত্তি হয়, তবে সম্পাদক, রিপোর্টারদের পার্টি করা হোক। আমি তাঁদের ক্রস-এক্সামিন করতে চাই।’’
হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার প্রসঙ্গও টেনে এদিন কল্যাণ ব্যানার্জি জানান, ২৫ এপ্রিলের ঘটনার সময় কুণাল ঘোষ হাইকোর্ট চত্বরে ছিলেন না। ছিলেন নিউজ এইট্টিন-এর স্টুডিওতে। চাকরিপ্রার্থীরা যখন তাঁকে মেসেজ করে জানান তিনি উত্তরে লেখেন, ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করুন, আইন ভেঙে কিছু করবেন না, যা বলার মিডিয়াকে বলুন।’’ কুণাল ঘোষের দাবি, “আমি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিমদের বক্তব্যের জবাব দিয়েছি। আমার কী সমালোচনার অধিকার নেই?