আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে শীঘ্রই। আগামী ১১ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রের হাতে আসতে পারে রিপোর্ট। চার থেকে পাঁচ পাতার প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করা হতে পারে। বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে এই প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট খুবই প্রয়োজনীয় নথি বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাব্য নানা কারণ উল্লেখ থাকতে পারে।
গত ১২ জুন ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে টেক অফের পরেই মেঘানিনগর এলাকায় এমবিবিএস হস্টেলের ভবনে গিয়ে ধাক্কা মারে এয়ার ইন্ডিয়ার AI-171 বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান। সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ে বিমান। বিস্ফোরণের কালো ধোঁয়ায় ঢাকে এলাকা। একজন বাদে সব যাত্রীই মারা যান। দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যু ২৭০ ছাড়ায়। বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত হচ্ছে ভারতেই। গত সপ্তাহেই বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। আর এবার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টও হাতে আসতে চলেছে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের বিস্তারিত বিবরণ, ক্রু সদস্যদের সংখ্যা, দুর্ঘটনার দিন আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের পরিস্থিতি, আবহাওয়া সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। যান্ত্রিক ত্রুটি কোথায় ছিল, আদৌও ছিল কি না, সেসব তথ্যও উল্লেখ থাকবে। আর সেই প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তদন্ত। কোন কোন জায়গায় বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা দরকার, তাও নির্ধারণ করা হবে। আন্তর্জাতিক অসামরিক উড়ান সংস্থার গাইডলাইন মেনে দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মাথায় প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট দিতে হবে ভারতকে।
বিমানের দুর্ঘটনায় অন্তর্ঘাত ছিল কি না, সেই দিকটিও তদন্তের আওতায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে গত মাসেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মুরলীধর মহল। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা তো বটেই, বিমান দুর্ঘটনায় সব দিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেতে এখনও প্রায় ২ মাস সময় লাগবে বলেই জানানো হয়েছে।