যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে কটাক্ষ করলেন টেসলা কর্ণধার এলন মাস্ককে। রবিবার এক জনসভায় ট্রাম্প মন্তব্য করেন, সরকারি ভর্তুকি ছাড়া মাস্ক কিছুই নয়। সাবসিডি বন্ধ হলে ও নিজের দেশে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যাবে।
ট্রাম্পের এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। তিনি বলেন, এই লোকটা আমেরিকার টাকায় বড় হয়েছে। টেসলা, স্পেসএক্স, সবই সাবসিডির উপরে দাঁড়িয়ে আছে। ও যদি এক ডলারও সাবসিডি না পেত, তাহলে এতদিনে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে গিয়েছিল।
গত কয়েক মাস ধরেই মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। একদিকে মাস্ক মাঝে মাঝেই ডানপন্থী মতামত প্রকাশ করছেন, অন্যদিকে ট্রাম্প মনে করছেন, মাস্কের এই রাজনৈতিক অবস্থান নিছক সুবিধাবাদ।
ট্রাম্পের অভিযোগ, মাস্ক একসময় তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন, কিন্তু এখন তাঁরই মতো কথা বলছেন। এই মানুষটা আগে বলেছিল, আমাকে ভোট দেবে না। এখন সে-ই আমার নীতি অনুসরণ করছে, বললেন ট্রাম্প।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প এই মন্তব্য করে মাস্কের জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করছেন। উল্লেখ্য, মাস্কের কোম্পানিগুলি মার্কিন সরকারের কাছ থেকে বহু বিলিয়ন ডলারের ভর্তুকি পেয়েছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প।
এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এলন মাস্ক এখনো পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, ট্রাম্পের এই মন্তব্য রাজনৈতিক ঈর্ষা থেকেই এসেছে।
এই বাকযুদ্ধ মার্কিন রাজনীতিতে ধনী কর্পোরেট ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা ও সাবসিডির ব্যবহার নিয়ে নতুন করে আলোচনার দরজা খুলে দিয়েছে। ২০২৫ সালের নির্বাচন পরবর্তী রাজনীতিতে মাস্ক ও ট্রাম্পের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে, এখন সেটাই দেখার।