আজ মঙ্গলবার থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তা না দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কার্তিক মহারাজ। ধর্ষণ এবং জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত মহারাজকে তলব করে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার পুলিশ। দেওয়া হয় নোটিশ। আর সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি ‘ঘনিষ্ঠ’ এই মহারাজ। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর বাতিল করারও আবেদন জানিয়ছেন। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বলে খবর।
অন্যদিকে এদিন কার্তিক মহারাজের কড়া শাস্তি চেয়ে পথে নামেন বহু মহিলা। শুধু তাই নয়, একেবারে প্ল্যাকার্ড হাতে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান। যেখানে কড়া শাস্তির দাবি জানানো হয়। এমনকী ঝাঁটা হাতেও দেখা যায় মহিলাদের। সোমবারই এই ঘটনায় শাসকদল তৃণমূলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। শাসকদলের দাবি, কার্তিক মহারাজ বিজেপি ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় মহিলা কমিশনের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তৃণমূল।
বলে রাখা প্রয়োজন, স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক মহিলা। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার সুযোগে ২০১৩ সালে এই ঘটনা ঘটানো হয় বলে অভিযোগ তাঁর। এমনকী জোর করে গর্ভপাত করানো হয় বলেও অভিযোগ। এই মর্মে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায় কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও জানান ওই মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন আগেই মহারাজকে নোটিশ ধরায় পুলিশ। বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রমে গিয়ে সেই নোটিশ দিয়ে আসে পুলিশ। সেই অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার নবগ্রাম থানায় জেরার মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল স্বামী প্রদীপ্তানন্দের।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এদিন তদন্তের মুখোমুখি হননি তিনি। বরং নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে এবং এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কার্তিক মহারাজ। আবেদনে তাঁর দাবি, সাধু-সন্তদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মহারাজের আরও দাবি, ‘ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মানুষ আমি। ১৩ বছর আগে কিছু হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন এক মহিলা’। আর সেই ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নোটিশ ধরানো হয়েছে। এই বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মহারাজ। যা খবর, সম্ভবত আগামীকাল বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে। এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ করে।