কসবা ল কলেজে ধর্ষণের ঘটনার কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। ইতিমধ্যে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে এক নিরাপত্তাকর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ইস্যুতে ক্রমশ শাসকদলের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যে কসবায় ঘুরে গিয়েছে বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল। এমনকী কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন দলের সদস্যরা। ফলে কসবা নিয়ে পুলিশের উপরেও রয়েছে বাড়তি চাপ। বিশেষ করে শাসকদলের নেতার নাম সামনে আসায় তদন্তকারীদের উপর বাড়তি যে চাপ আছে তা কার্যত স্পষ্ট।
যদিও রঙ না দেখে ঘটনার পরেই একের পর একজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু কড়া শাস্তি হবে কি? এই প্রশ্নও ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। আশস্ত করেছেন, ‘দোষ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি হবে’। অন্যদিকে ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে বহিষ্কার করা হল কলেজ থেকে। একইসঙ্গে পরিচালন সমিতির সুপারিশ মেনে আরও দুই অভিযুক্তকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি মুল অভিযুক্তের বার কাউন্সিলের লাইসেন্সও যাতে বাতিল করা হয় সেই সুপারিশও করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কসবা কাণ্ড নিয়ে কী বললেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার?
এদিন সিপি মনোজ ভার্মা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘খুবই সেন্সিটিভ একটি ঘটনা ঘটেছে। একাধিক তথ্য ইতিমধ্যে হাতে এসেছে’। শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের কথায়, ‘প্রমাণ জোগাড় করেছি। যা যা অ্যাকশন নেওয়ার দরকার তা নেওয়া হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।’ তবে এক্ষেত্রে তথ্য যাচাই খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার। তাঁর কথায়, সমস্ত তথ্য যাচাই করার কাজ করা হচ্ছে। তবে সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তবে দোষীরা কড়া শাস্তি পাবে বলেই এদিন সংবাদমাধ্যমে দাবি মনোজ ভার্মার।
একই সঙ্গে নির্যাতিতার নাম পরিচয় প্রকাশ করা নিয়েও সতর্ক করে দিয়েছেন। সিপি জানিয়েছেন, কসবা ল কলেজের নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশ করার চেষ্টা চলছে। যা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ এবং সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনের কথা মনে করিয়ছেন মনোজ ভার্মা। তাঁর কথায়, আদালতের গাইডলাইন অনুযায়ী নির্যাতিতার পরিচয় যাতে প্রকাশ করা না হয়। এই বিষয়ে এদিন কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে কসবা ধর্ষণের ঘটনায় মুল অভিযুক্ত ল কলেজের শাসকদলের ছাত্রনেতাই নয়, অস্থায়ী কর্মীও বটে। ঘটনার পর থেকে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তাঁর বিরুদ্ধে তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছিল। অবশেষে ছয়দিন পর শিক্ষা দফতর নড়েচড়ে বসে। আর এরপরেই অভিযুক্তকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হল বলে খবর