কসবার ল’ কলেজে গণধর্ষণের শিকার আইনের ছাত্রী। ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের আবার শাসকদলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এ নিয়ে এমনিতেই বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। তার উপর বিড়ম্বনা বাড়িয়ে চলেছেন দলেরই নেতামন্ত্রীরা। গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে একের পর এক বেঁফাস মন্তব্য করছেন তাঁরা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্রের পর এ বার মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মঙ্গলবার রাজ্যের সেচমন্ত্রী কসবার ঘটনাকে ‘সামান্য ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন বলে দাবি।
চিকিৎসক দিবসে আয়োজিত একটি রক্তদান কর্মসূচিতে কথা বলছিলেন মানস। বলেন, “পহেলগাম হামলার অভিযুক্তরা ধরা পড়েনি। আর বাংলার দিকে দেখুন। ছোট্ট একটা ঘটনা ঘটলেই গেল গেল গেল রে রব উঠল। ঘটনা তো কত ঘটে। স্বামী স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে দিচ্ছে। স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে স্বামীকে পাহাড় থেকে ঠেলে ফেলে দিচ্ছে। এ সব সমাজের একটি সঙ্কট।”
কসবা আবহে মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে আগুনের মতো ছড়িয়ে গিয়েছে বিতর্ক। পরে অবশ্য নিজের মন্তব্যের সাফাইও দিতে দেখা যায় তাঁকে। সেচমন্ত্রী বলেন, “আমার কথা বিকৃত করা হচ্ছে। আমি কসবার ক উচ্চারণ করিনি। কসবার ঘটনা কখন বললাম! এ সব বিভ্রান্তিকর। অপমান করার জন্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে।” একই দাবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে তৃণমূলের তরফেও।
যদিও মানসের ওই মন্তব্যে শাসকদলকে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স পোস্টে লেখেন, ‘ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীর প্রকৃত উত্তরসূরী সেচমন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুইয়া। কসবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণধর্ষণের মতো হাড়হিম ঘটনাকে নির্লজ্জের মতো ছোট ঘটনা বলে দাগিয়ে দিলেন তিনি। এর আগেও নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলিকে খাটো করার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের নোংরা মানসিকতা ফের প্রকাশ্যে। নারী সুরক্ষা তো দূর, নারীদের প্রতি তৃণমূলের মনোভাবই এ থেকে স্পষ্ট।” আর শিলিগুড়ি থেকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “তৃণমূলের রাজত্বে অপরাধী আর গ্যাংস্টাররা ধর্ষণ আর লুটপাটের অধিকার পেয়ে গেছে।”