শীতেই অভ্যস্ত ইতালি, ফ্রান্স, স্পেনের মতো ইউরোপের দেশগুলি। কিন্তু এ বছর তাপের তান্ডবে প্রাণ যায়-যায় ইউরোপের। পারদ পৌঁছেছে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তীব্র গরমের চোটে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইতালির এক হাজারের বেশি স্কুল। গোটা ইউরোপে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য সতর্কতা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আইফেল টাওয়ারের দরজাও। নাগরিকরা যাতে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরোন তার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। ইতালির মিলান, রোম-সহ ১৭টি জায়গায় গরমের কারণে চূড়ান্ত লাল সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর।
ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স-সহ বিভিন্ন দেশের আবহবিদরা বলছেন, বছরের এই সময় ভূমধ্য সাগরের তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি চলছে। ফ্রান্সে কয়েকটি জায়গায় তাপমাত্রা অতিক্রম করেছে ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি, স্পেনে আরও গরম। একই অবস্থা ইতালিতেও। কোপারনিকাস আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বের সব থেকে দ্রুত উষ্ণায়নের প্রভাব পড়ছে ইউরোপে। তার জেরে গোটা মহাদেশের তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে।
আবহাওয়াবিদ মেটিয়া ফ্রান্স জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ফ্রান্সে সবথেকে বেশি গরম পড়েছে। কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রিতে পৌঁছে গেছে। কোথাও কোথাও আবার তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি। এই রকম ভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মহাদেশটির লক্ষ লক্ষ মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়ছেন। ফ্রান্সে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আইফেল টাওয়ারের সবচেয়ে উঁচু তলের দরজাও বন্ধ। রাস্তাঘাটে যেন অঘোষিত ধর্মঘট।
এই গরম যেমন একদিকে গোটা ইউরোপের স্বাস্থ্যে-শিক্ষার ওপর প্রভাব ফেলেছে আবার অন্যদিকে ফসল নিয়েও সংকট দেখা দিয়েছে। ফ্রান্স ইউরোপ সংঘের সব থেকে বোরো ফসল উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু এ বছর তীব্র গরমে জমির ফসল পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে, গরমের প্রকোপে হাঁসফাঁস করছে গোটা ইউরোপ।