সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়: আগামী শুক্রবার উল্টো রথ উপলক্ষে দীঘার আকাশে পুলিশের ড্রোন ছাড়া অন্য কোন ড্রোন উড়বে না। যে রাস্তায় উল্টোরথে জগন্নাথ দেবের রথ পরিক্রমা করবে সেই রাস্তায় সাধারণ মানুষ নামতে পারবেন না। রাস্তার দু’ধারে যে ব্যারিকেড করা থাকবে, সেই ব্যারিকেডের বাইরেই ভক্তবৃন্দকে বা সাধারণ মানুষকে থাকতে হবে। তবে রথের দর্শন এবং রথ থেকে ব্যারিকেড-এর উপর রাখা রশিতে যাতে সাধারণ মানুষের কোন সমস্যা না হয় সেদিকে সতর্ক ও সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে প্রশাসনের তরফে।
বুধবার নবান্নে উল্টোরথ, মহরম ও শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি সংক্রান্ত বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু উল্টো রথ ও মহরম একইসঙ্গে রাজ্যজুড়ে উদযাপিত হবে সে কারণে নিরাপত্তার কড়াকড়ি আরও বাড়ানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি সব ধর্মের মানুষ যাতে নিজেদের ধর্মীয় রীতিনীতি আচার অনুষ্ঠান পালনে কোনোরকম বাধা না পান বা কোন দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে পুলিশ ও প্রশাসনকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
ইতিমধ্যেই দিঘায় উল্টোরথ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে রাজ্যের ছয় মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকালই রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী দিঘায় পৌঁছচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিত ব্যবস্থা অনুযায়ী তাঁরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা ছাড়াও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার উপস্থিত ছিলেন।
উল্টোরথ ও মহরমের নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি বৈঠকে উঠে এসেছে শ্রাবণী মেলার বিষয়ও। শ্রাবণী মেলাকে কেন্দ্র করে তাকে কেন্দ্র করে তারকেশ্বর সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সেক্ষেত্রেও যাতে নিরাপত্তার সমস্যা না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই কেএমডিএ’ র কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়া পুরসভাতে গাছ পড়ে দুজনের মৃত্যু ঘটনায় যথেষ্ট বিরক্ত বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি।এই বিষয়গুলো আরও সতর্কভাবে দেখতে হবে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।