বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব উঠল শমীক ভট্টাচার্যের কাঁধে। তপন শিকদার, অসীম ঘোষ আবার কখনও রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতির পথ সামলেছেন। এবার সেই গুরু দায়িত্বই আরএসএস ঘনিষ্ঠ এই নেতার হাতে। তবে নয়া বিজেপি সভাপতির পথ কি খুব মসৃণ হবে? ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
বিশেষ করে দলের গোষ্ঠী কোন্দল থেকে শুরু করে সংগঠন, সবটাই নড়েবড়ে অবস্থায়। বিধানসভা ভোটের বাকি কয়েকটা মাস। ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল। সেখানে দাঁড়িয়ে কীভাবে একের পর এক চ্যালেঞ্জ কীভাবে শমীক ভট্টাচার্য সেদিকে সবার নজর যে থাকবে তা স্পষ্ট।
যদিও রাজ্য সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন পেশের সময়েই বিজেপি নেতা নতুন-পুরানো সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘গোষ্ঠী বিজেপিতে নেই। অনেক খুঁজেও তা পাইনি’। রাজ্যসভার সাংসদের কথায়, এটা একটা টিম গেল। একজোট হয়ে বাংলায় বিজেপি লড়াই করবে। নতুন-পুরানো দ্বন্দ থাকবে না। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েই কাজ করবে বলেও এদিন জানান শমীক ভট্টাচার্য। কিন্তু সংগঠন? গত লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির আশানারুপ ফল হয়নি। এর কারণ হিসাবে একাধিকবার সংগঠনের কথা উঠে এসেছে। আগামী ২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে সেই সংগঠনকে কি মজবুত করতে পারবেন নয়া রাজ্য সভাপতি? সেদিকেও নজর থাকবে সবার।
আরএসএসের ভরসা শমীকেই!
কার্যত ছাত্র অবস্থা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত শমীক ভট্টাচার্য। প্রথমে জনসঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর বিজেপিতে। এর মধ্যেই আরএসএস অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। জানা যাচ্ছে, ৭১ সাল থেকে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘ সময় আরএসএসের হয়ে কাজ করেছেন শমীক ভট্টাচার্য। বঙ্গ বিজেপির রাজ্যসভাপতি হিসাবে একাধিক নাম শোনা যাচ্ছিল। এমনকী লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পালের মতো নেত্রীদের নামও সামনে এসেছিল। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে শমীক ভট্টাচার্যকে আরএসএস চাইছিল বলে দাবি।