আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে তা অনুসন্ধানে জোরকদমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা। বুধবার বিমানের সিমুলেটর র্নির্মাণ করে কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালালেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত আসল AI-171 বিমানের অনুকরণে তৈরি ককপিট থেকে দুর্ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করা হল। আর তাতে যান্ত্রিক ত্রুটিই ১২ জুনের বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন তারা।
বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ঠিকঠাক ছিল কি না, ডানার ফ্ল্যাপিং কাজ করেছিল কি না তা এদিন খতিয়ে দেখা হয়। ইতিমধ্যেই বিমানের উভয় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার তত্ত্ব সামনে এসেছে। সেই বিষয়টিও এদিন পরীক্ষা করেন পাইলটরা। তবে অনুসন্ধান থেকে মেলা তথ্য সম্পর্কে বিশদে কিছু জানায়নি এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। উড়ান সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, “সবই পরীক্ষামূলক। এখনই চূড়ান্ত কোনও ফয়সালায় আসা যাবে না।” তবে একাধিক বিশেষজ্ঞের মতে, দুর্ঘটনার নেপথ্যে যান্ত্রিক গোলযোগই সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।
মার্কিন নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত পাইলট ক্যাপ্টেন স্টিভ স্কিবনারের মতে, একসঙ্গে দুটো ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েও থাকতে পারে। টেকঅফের পরে পরেই ব়্যাম এয়ার টারবাইন (ব়্যাট) চালু করা হয়েছিল। যার থেকেই আরও জোরালো হচ্ছে ডবল ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)। তবে এদিনের সিমুলেশন সেই তদন্তের আওতায় করা হয়নি। সম্ভাব্য কারণ খুঁজতে আলাদাভাবে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটরা এই সিমুলেটর তৈরি করেছিলেন।
আহমেদাবাদে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্য দিল্লিতে AAIB-এর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের মোড় ঘোরাতে পারে ওই পরীক্ষা। আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা বা ICAO-র নির্দেশিকা অনুসারে, দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হয়। সেইমতো ইতিমধ্যেই ১১ জুলাইয়ের মধ্যে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে তদন্তকারী সংস্থা।