কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির নিশানায় ফের কেন্দ্রীয় সরকার। এবার মহারাষ্ট্রের কৃষকদের আত্মহত্যা নিয়ে মোদী সরকারের তুলোধোনা রাহুলের। বৃহস্পতিবার রাহুল বলেন, মোদী সরকার কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে কতটা উদাসীন তারই প্রমাণ কৃষকদের আত্মহত্যা। কৃষকরা প্রতিদিন দেনায় ডুবে যাচ্ছেন। দেনার দায়ে শেষে আত্মহত্যা করছেন আর মোদী সরকার নিজের গুণগানে ব্যস্ত। এদিন লোকসভার বিরোধী দলনেতা কেন্দ্র সরকারকে বিঁধে বলেন, কৃষকদের ঋণ মকুব থেকে শুরু করে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য(এমএসপি)-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবহেলা করছে কেন্দ্র।
রাহুল একটি খবরের স্ক্রিন শট শেয়ার করে বলেন, “মহারাষ্ট্রে মাত্র তিন মাসে ৭৬৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। একটু ভেবে দেখুন, মাত্র তিন মাসে ৭৬৭ অন্ন উৎপাদনকারী মারা গিয়েছেন ঋণের দায়ে। এরপর কী হবে? আসলে শুধু ওই ৭৬৭ জন কৃষক নন ৭৬৭ পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে কেন্দ্রের ভুল নীতি”।
উল্লেখ্য, নানা রাজ্যে কৃষকদের আত্মহত্যা এবং সয়াবিন চাষিদের প্রাপ্য না মেটানোর বিরুদ্ধে বুধবার বিরোধী সাংসদরা মহারাষ্ট্রের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। কংগ্রেস নেতা বিজয়া ওডেট্টিবার বিধানসভায় কৃষকদের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন, চলতি বছরেই জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে মহারাষ্ট্রের ৭৬৭ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার এই ঘটনাগুলোর মধ্যে ২০০টি এমন উদাহরণ রয়েছে কেন্দ্র যাঁদের সাহায্যের যোগ্যই মনে করেনি। আবার ১৯৪টির ক্ষেত্রে তদন্ত এখনও ঝুলে রয়েছে।
বিরোধী নেতার এই অভিযোগের পর অবশ্য জবাব দিতে মাঠে নেমে পড়েন বিজেপির আইটিসেলের প্রধান অমিত মালব্য। এক্স-এ একটি তালিকা প্রকাশ করে অমিত লেখেন, “এই তালিকা দেখলে বুঝবেন এনসিপি-কংগ্রেসের ১৫ বছরের রাজত্বে মহারাষ্ট্রের ৫৫,৯২৮ কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। মৃতদের নিয়ে রাজনীতি করাটা জঘন্য। রাহুলকে নিশানা করে অমিত মালব্য লেখেন, মুখ খোলার আগে রাহুলের উচিত মহারাষ্ট্রে এনসিপি-কংগ্রেস সরকারের পাপগুলি একবার স্মরণ করে নেওয়া। আমি ওঁকে জিজ্ঞেস করছি, কংগ্রেস জামানায় ওই ৫৫,৯২৮ জন কৃষক কেন আত্মহত্যা করেছিলেন? আসলে মোদী সরকারের আমলের উন্নতি সহ্য করতে পারছে না কংগ্রেস। তাই এই অপপ্রচার”।