বাংলার মানুষের জন্য স্বস্তির খবর। আগামী বছর ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে দিল্লি-কলকাতা ছয় লেনের করিডরের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আজ বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের এক জনসভায় যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নীতীন গড়করি। প্রায় ৩১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি হচ্ছে এই লেন। আর সেই কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে বলেও এদিন জানান কেন্দ্রীয় সড়ক এবং পরিবহন মন্ত্রী। একই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে মোদী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে ২ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথাও এদিন জানান মন্ত্রী।
একনজরে দিল্লি-কলকাতা ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে
অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে সড়ক যোজনা নয়া মাইলস্টোন তৈরি করেছিল। নীতীন গড়করির হাত ধরে একাধিক এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হয়েছে। গতি এসেছে সড়ক পরিবহণে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল দিল্লি-কলকাতা ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে করিডর। যা একসঙ্গে চার রাজ্যকে ছুঁয়ে যাবে। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ। তৈরি হবে ছয় লেনের রাস্তা। কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। বলে রাখা প্রয়োজন, সেই সময় বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।
আর তা শেষ হলে এই রাজ্যগুলির মধ্যে যেমন পর্যটন বাড়বে, তেমনই অর্থনৈতিক জোয়ার আসবে বলেও মত। একই সঙ্গে পরিকাঠামোরও উন্নতি হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এদিন বারাণসী-রাঁচি-কলকাতা গ্রিণফিল্ড করিডর নিয়েও কথা বলেন নীতীন গড়করি। তিনি বলেন, বারাণসী-রাঁচি-কলকাতা গ্রিণফিল্ড করিডর তৈরির কাজও চলছে। আর তা আগামী ২০২৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানান মন্ত্রী। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রায় ৩৬,০০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
বারাণসী-রাঁচি-কলকাতা গ্রীনফিল্ড করিডোর ছাড়াও আগামী ২০২৮ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে রাঁচি-বারাণসী ইকোনমিক করিডর তৈরির কাজ শেষ হবে বলেও এদিন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এদিন ঝাড়খণ্ডে দাঁড়িয়ে সে রাজ্যের উন্নয়নের কথাও বলেন গড়করি। সে রাজ্যের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পরিচালিত সরকারকে তোপ দেগে মন্ত্রী বলেন, ভোটের সময় রাজনীতি হওয়া উচিত। কিন্তু ভোটের পর উন্নয়ন নিয়ে কথা বলা উচিত। তবে কেন্দ্রীয় সরকার ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঝাড়খন্ড, বিহারের সঙ্গে যাতে আগামীদিনে সমস্ত রাজ্যগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে সেজন্য কাজ করা হবে বলেও এদিন জানান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।