গত ১২ জুন আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণী। ঘটনাচক্রে তার দু’মাস আগে একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ককপিটে পরিদর্শন করেছিলেন তিনি। ইন্দাস বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা এয়ার ইন্ডিয়ার পুরনো বাতিল বোয়িং বিমানের ককপিটের ভিতরে ঢুকে কী ভাবে বিমান চালানো হয়, তা বোঝার চেষ্টা করেছিলেন রুপাণী। আর ঠিক দু’মাসের মাথায় অভিশপ্ত বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানই কেড়ে নিল প্রাণ।
গত এপ্রিলের ৮ তারিখ আহমেদাবাদের শহরতলিতে রণচারদা গ্রামে ইন্দাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর বিষয়ে একটি বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন রুপাণী। বক্তৃতা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখছিলেন। ক্যাম্পাসেই রয়েছে ‘ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ অ্যারোনটিক্স’। ওই প্রতিষ্ঠানের পার্কিং লটে পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি এয়ার ইন্ডিয়ার বাতিল বোয়িং ৭৩৭-২০০ বিমান রাখা ছিল। বিমানটি কয়েক বছর আগেই বাতিল করা হয়েছে। সেই বিমানের ককপিটে ঢুকে বিমান চালানোর বিষয়টি পড়ুয়াদের থেকে হাতেকলমে বুঝছিলেন রুপাণী। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাগ করে নিয়েছিলেন সেই অভিজ্ঞতা। লিখেছিলেন, ‘ইনস্টিটিউট অফ অ্যারোনটিক্সে বোয়িং ৭৩৭, জেনিথ ও মিগ-২১ সিরিজের মডেল ও আসল বিমান কী ভাবে কাজ করে তা দেখলাম।’ পড়ুয়াদের সঙ্গেও আলাপচারিতা সারেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
দু’মাস বাদে সে রকমই একটি বোয়িং বিমানে সওয়ার হয়ে প্রাণ গেল রুপাণীর। আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ২৪১ জন যাত্রীর মধ্যে ছিলেন বিজয় রুপাণীও। দুর্ঘটনার তিন দিনের মাথায় হদিশ মেলে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেহের। ডিএনএ পরীক্ষায় নমুনা মিলিয়ে শনাক্ত করা হয় দেহ। পরে তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, লন্ডনে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন রুপাণী।