লাগাতার বৃষ্টিতে ভাসছে হিমাচল প্রদেশ। প্রবল বৃষ্টির জেরে সে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ধস, হড়পা বানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বানভাসি বহু এলাকা। এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনকী বহু মানুষের খোঁজ মিলছে না বলে খবর। ক্রমশ বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান। সবথেকে খারাপ অবস্থা মান্ডি জেলায়। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেখানের পরিস্থিতি সবথেকে ভয়াবহ। সেখানেই প্রায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। খোঁজ নেই বহু মানুষের।
এই অবস্থায় এলাকার সাংসদ তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখনও পর্যন্ত দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় হয়নি তাঁর। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। কড়া ভাষায় বিজেপি সাংসদকে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। এর মধ্যেই কঙ্গনা রানায়াতের একটি টুইট ঘিরে শুরু হয়েছে আরও বিতর্ক। দুর্গত মানুষের কাছে না পৌঁছানোর পিছনে দলেরই প্রবীণ নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে দায়ী করেছেন কঙ্গনা। পালটা জবাব দিয়েছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাও। আর এই সুযোগে ময়দানে নেমে পড়েছে কংগ্রেস।
কঙ্গনার টুইট ঘিরে কেন বিতর্ক?
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি সাংসদ লেখেন, প্রত্যেক বছর বন্যায় বিধস্ত হচ্ছে হিমাচল প্রদেশ। যা খুবই দুঃখজনক একটা ঘটনা। কঙ্গনার দাবি, “আমি সেরাজ, মান্ডি সহ একাধিক জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু জয়রাম ঠাকুরই আমাকে এই অবস্থায় যেতে নিষেধ করেন”। শুধু তাই নয়, জয়রাম ঠাকুরের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও লিখছেন, “উনিই বলেছিলেন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক হলে আসতে”। তবে এখন শীঘ্রই সেখানে পৌছবেন বলে টুইটে দাবি কঙ্গনার।
আর এহেন টুইট ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই বিষয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুরকে জিজ্ঞেস করলে এই বিষয়ে পালটা ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, “এই বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। নাম না করে কঙ্গনাকে একহাত নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, যারা গুরুত্ব দেয় তাঁদের জন্য জীবন দিয়ে দেব, যারা দেয় না তাঁদের ব্যাপারে কিছু বলব না”।
আর এই ঘরোয়া লড়াইয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। বিজেপি নেত্রী কঙ্গনাকে একহাত নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এলাকার সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতের মান্ডির মানুষের জন্য কোনও চিন্তা নেই। এই কথা আমরা নই, হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলছেন বলে তোপ স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।