একসঙ্গে, এক ভঙ্গিতে, এক সুরে কথা বলেন তাঁরা। জনপ্রিয় ‘কপিল শর্মা শো’য়ের চিঙ্কি-মিঙ্কিকে নিশ্চয়ই মনে আছে? রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছিল তাঁদের পারফর্ম্যান্স। অনুষ্ঠানে তো বটেই, পরবর্তীকালে একাধিক সাক্ষাৎকারেও তাঁরা কোনওদিন খোলসা করেননি কে চিঙ্কি ও কে মিঙ্কি। এটাই ছিল তাঁদের ইউএসপি। তবে এবার সেই যমজ জুটি সুরভি ও সমৃদ্ধি মেহেরাই আলাদা হচ্ছেন। আনুষ্ঠানিকভাবেই পেশাদারি বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন দুই বোন।
শুধু টিভির পর্দাতেই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয় দুই বোন। তাঁদের ইনস্টাগ্রামে একটি মিলিত অ্যাকাউন্ট রয়েছে যেখানে ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ১২ মিলিয়ন। সেখানে তাঁদের একসঙ্গে নাচের রিল থেকে মজার ভিডিয়ো সবই পোস্ট করতে দেখা যায়। একই পোশাকে একই সুরে একই কথা বলতে দেখা যেত তাঁদের। ফলে তাঁদের বিচ্ছেদের ঘোষণা রীতিমতো চমকে দিয়েছে অনুরাগীদের। কারণ তাঁরা ‘জুটি’ হিসেবেই বেশি ভালবাসা পেয়েছিলেন, তাঁরা আলাদা হতে পারেন কেউ হয়তো কখনও ভাবেননি।
৩ জুলাই নিজেদের ইনস্টাগ্রামে একটি নোট পোস্ট করেন চিঙ্কি-মিঙ্কি। সেখানে লেখেন, ‘ভারী হৃদয়ে জানাচ্ছি, আমরা জুটি হিসেবে এবার নিজেদের আলাদা পথ বেছে নিচ্ছি। এখন থেকে নিজেদের জীবনের মোড় স্বতন্ত্রভাবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এতদিন পর্যন্ত একসঙ্গে যা করেছি সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ এবং আগামীর জন্য উত্তেজিত। আমাদের দুজনের জন্য ভালবাসা পাঠাবেন ও প্রার্থনা করবেন।’
১৯৯৮ সালে উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় জন্ম হয় যমজ বোন সুরভী ও সমৃদ্ধি মেহরা, ওরফে চিঙ্কি ও মিঙ্কির। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে কন্টেন্ট তৈরি করা শুরু করেন তাঁরা। এরপর ২০১৯ সালে কপিশ শর্মার অনুষ্ঠানে আত্মপ্রকাশ করেন তাঁরা। একাধিক ওয়েব সিরিজ়েও কাজ করেছেন তাঁরা। এর মধ্যে ‘কলেজ রোম্যান্স’, ‘হিরো: গায়েব মোড অন’ অন্যতম। ২০২২ সালে ‘ট্যুইন্টারভিউ’ নামে একটি শো হোস্ট করেন। একাধিক সেলিব্রিটি সেখানে অতিথি হিসেবে গিয়েছেন। তাঁদের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ থেকে ২৫ কোটি প্রায়।
চিঙ্কি ও মিঙ্কির এই ঘোষণায় আহত অনুরাগীরা। অনেকেই মনে করছেন এটা হয়তো নিছকই প্র্যাঙ্ক। আবার কারও মতে ‘ভাইবোনদের আলাদা হওয়া এখন নতুন ট্রেন্ড।’ প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সোনু কক্কর তাঁর দুই ভাইবোন নেহা ও টনি কক্করের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। তালিকায় রয়েছেন অমল ও অরমান মালিকও। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চিঙ্কি ও মিঙ্কি জানিয়েছিলেন যে একাধিক অডিশনে গিয়ে তাঁরা সমস্যার মুখে পড়েন। অনেক কাজেই তাঁদের একজনকে বেছে নিতে চান নির্মাতারা, কিন্তু পারেন না। তখন একেবারে অন্য কারও কাছে সেই কাজ চলে যায়। সেখানেই তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন পেশার খাতিরে প্রয়োজন পড়লে আলাদা কাজ করতেও রাজি তাঁরা। আজ সেই কথাই ঘোষণা করলেন আনুষ্ঠানিকভাবে। যদিও এরপর কখনওই কি তাঁদের একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যাবে না? সেই কথা স্পষ্ট নয়।