স্কুল গেটের সামনে আচমকাই অচেতন হয়ে পড়ে যায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো গেল না। ডাক্তারদের প্রাথমিক অনুমান, শিশুটি ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’-এ মারা গেছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বারবকি জেলার সেন্ট অ্যান্থনি স্কুলে। স্থানীয় ঘেরি এলাকার বাসিন্দা যতীন্দ্র প্রতাপ সিংহের একমাত্র ছেলে অখিল সেদিন সকালে বাবার সঙ্গে স্কুলে যায়। গেটের সামনে পৌঁছাতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছিল শিশুটির।
অখিলের বাবা জানান, তার ছেলের কোনও পূর্বের অসুস্থতা ছিল না। সে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল এবং প্রতিদিনের মতোই স্কুলে যাচ্ছিল। মা মমতা সিংহ বারাবকি জেলার এক ইন্টার কলেজের শিক্ষিকা। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন মা-বাবা দু’জনেই।
স্থানীয় চিকিৎসক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাজেশ কুশবাহা জানান, ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’-এ কোনও দৃশ্যমান উপসর্গ থাকে না। শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ, দুঃসংবাদ বা অতিরিক্ত টেনশন থেকেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি বলেন, শিশুদের মোবাইল ফোন ও অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখাই এই ধরনের মৃত্যুর সম্ভাবনা কমাতে পারে।
ঘটনার পর শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও কাউন্সেলিং-এর গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে ভাবনা শুরু হয়েছে অভিভাবক ও স্কুল প্রশাসনের মধ্যে।